পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৪৬
নরওয়ে ভ্রমণ

জল না যোগাইলে, কে এখানে প্রাণ ধারণ করিতে পারিত? এখান হইতে আমাদিগের দোদুল্যমান প্রবাসগৃহ দেখা যাইতেছিল। অনেক আগেই সে আসিয়া আমাদের প্রতীক্ষায় বসিয়াছিল। ট্রেণের দমকল বন্ধ হইলেই, সে আপনার কলে দম দিবে। অনেকদিন পরে আপনার বাড়ী ঘর, আত্মীয়স্বরূন দেখিলে মনে যে আনন্দ হয়, আজ যেন অন্তরমধ্যে সেই মূর্তি অনুভব করিলাম। আজ আর দেশ বিদেশের পার্থক্য মনে নাই, গায়ের কাল রঙের কথা ভুলিয়া গিয়াছিলাম। তারাও হাসে, আমরাও হাসি। তাদেরও একটা ভাবনা গেল, আমাদেরও তাই হইল। Tender হইতে জাহাজে উঠিতেই কাপ্তেন সাহেব হাত বাড়াইয়া দিয়া সাদর সম্ভাষণ জানাইলেন, পরে আমাদের পর্যটনের শুভাশুভ প্রশ্ন করিলেন। আমরাও যথারীতি তাহাকে ইকেসঙালেন্। ধন্যবাদ করিয়া আমাদের ভ্রমণ ব্যাপার যে সব আনন্দদায়ক হইয়াছিল, তাহা জ্ঞাপন করিলাম। তখন আরও অনেকে আসিয়া, ক্রমাগত আমাদিগকে একই কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। সভ্য দেশ, কি রীতির দাস! পাখীর মঙ পড়া-কথা বলা ও শোনাই তাদের অভ্যাস। আমাদের কেমন বার বার একই উত্তর দিতে দিতে বিরক্তি বোধ রোধ হইতে লাগিল। তখন হুকুমের হাসিও হয়রান হইয়া পড়িল, আর তাহা দ্বারা কাজ হাসিল হয় না। সুতরাং কেবিনের আশ্রয় লওয়া গেল। আজ London ডাকের চিঠিপত্র পাইবার দিন। এই কার্য্যের বিলিব্যবস্থাপকের নিকট গিয়া আপন