স্থানীয় ভাষা না-জানা বিদেশে, গাইড হেন বন্ধুজন ব্যতীত যে, আমাদের অন্যগতি নাই, তাহ। বিশেষভাবে উপলব্ধি করিলাম; এবং ভবিষ্যতে আর এমন জনে কখনও বিতৃষ্ণ হইব না, মনে মনে এরূপ সিদ্ধান্ত করিলাম। কেই কাছে আসিলেই “Tea Tea” এই কথাটি বার দুই তিন বলা হয়, কিন্তু কেহই, তাহ। কাণেই তুলিতেছে না দেখিয়া, হাসিও পাইতেছে, বড় বিরক্তও লাগিতেছে। আমার ভ্রাতা ভাবিলেন, এ সময় দুই চার কথা শুনাইতে পারিলে, তবে মনের ঝালটা একটু মিটিত। কিন্তু সেই যে কথায় বলে, “বেঁধে মারলে সয় ভাল” তার আজ সেই দশা। অসময়ে জাহাজেও এই পানীয়লাভ দুর্ঘট হইবে জানিতেন, সুতরাং রাগের মাথায় সেখানে গিয়াও কোন লাভ নাই। ইত্যবসরে কে যেন একটু বিনীত ভাবে আসিয়া, আধা আধা ইংরাজীতে জিজ্ঞাসা করিল Hi জেয়ান্স, গেছ “আমরা কি চাই?” আমাদের যদি মনে থাকিত যে, এ দেশে চায়ের চলন তত নাই, কাফি আর চকলেট-পানেরই প্রথা, তবে কি আর এ আহাম্মুকী বলিতে হইত! এখন
পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৫২
নরওয়ে ভ্রমণ