পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চ) কমিটির নিকট উপস্থাপিত কোন বিষয় সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করার জন্য তা উপ-অনুচ্ছেদ (খ)-এ উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোকে আহ্বান জানাতে পারে।
ছ) কমিটি কর্তৃক বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করার সময় উপ-অনুচ্ছেদ (খ)-এ উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর কমিটিতে প্রতিনিধি প্রেরণ করার এবং মৌখিক অথবা লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করার অধিকার থাকবে।
জ) উপ-অনুচ্ছেদ (খ)-এর অধীনে নোটিশ প্রাপ্তির পর বার মাসের মধ্যে কমিটি একটি রিপোর্ট দাখিল করবে—
অ. যদি উপ-অনুচ্ছেদ (ঙ)-এর শর্ত মোতাবেক কোন সমাধান হয়ে থাকে তবে কমিটি এর রিপোর্ট ঘটনাবলী এবং উপনীত সমাধানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে;
আ. যদি উপ-অনুচ্ছেদ (ঙ)-এর শর্ত অনুসারে কোন সমাধান উপনীত হওয়া না যায় তবে কমিটি এর রিপোর্ট কেবল ঘটনাবলীর সংক্ষিপ্ত বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে; এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলো কর্তৃক উপস্থাপিত লিখিত এবং মৌখিক যুক্তিগুলোর লিপি রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত থাকবে।
ই. প্রতিটি ক্ষেত্রে রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

৪১.২ চুক্তির দশটি রাষ্ট্রপক্ষ যখন এ ধারার (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঘোষণা প্রদান করবে তখন এ ধারার বিধানাবলী বলবৎ হবে। রাষ্ট্রপক্ষগুলো অনুরূপ ঘোষণা জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট জমা দিবে। মহাসচিব সেগুলোর প্রতিলিপি অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের নিকট প্রেরণ করবেন। মহাসচিবের নিকট প্রদত্ত নোটিশের মাধ্যমে যে কোন সময় কোন ঘোষণা প্রত্যাহার করা যেতে পারে। তবে অনুরূপ প্রত্যাহারের কারণে এ ধারার অধীনে ইতিপূর্বে প্রেরিত চিঠিপত্রের অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ের বিচার-বিবেচনা ব্যাহত হবে না। মহাসচিব কর্তৃক কোন রাষ্ট্রপক্ষের নিকট থেকে ঘোষণা প্রত্যাহারের নোটিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের নিকট থেকে আর কোন চিঠিপত্র গ্রহণ করা হবে না, যদি না ঐ রাষ্ট্রপক্ষ নতুনভাবে ঘোষণা প্রদান করে।

ধারা ৪২

৪২.১

ক) ৪১ ধারা অনুযায়ী কমিটির নিকট উপস্থাপিত কোন বিষয় যদি রাষ্ট্রপক্ষগুলোর সন্তোষ অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হয়, তবে কমিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর পূর্ব সম্মতিক্রমে একটি অস্থায়ী আপোষ কমিশন (যা অতঃপর কেবল কমিশন বলে উল্লিখিত) নিয়োগ করতে পারে। বর্তমান চুক্তির প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে যাতে বিষয়টির বন্ধুত্বপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয় সে উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট কমিশনের শুভ সংযোগ লভ্য করতে হবে।
২০