পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
খ) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট গ্রহণযোগ্য পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলো যদি তিন মাসের মধ্যে পূর্ণ কমিশন কিংবা এর আংশিক গঠন সম্পর্কে একমত হতে না পারে, তবে কমিশনের যে কয়জন সদস্য সম্পর্কে মতৈক্য হচ্ছে না তাঁরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কমিটি কর্তৃক এর সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন।

৪২.২ কমিশনের সদস্যগণ ব্যক্তিগত মর্যাদার কাজ করবেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর অথবা যে রাষ্ট্র বর্তমান চুক্তির পক্ষ নয় সে রাষ্ট্রের, কিংবা যে রাষ্ট্রপক্ষ ৪১ ধারার অধীনে ঘোষণা প্রদান করেনি সে রাষ্ট্রের নাগরিক হবেন না।

৪২.৩ কমিশন এর সভাপতি নির্বাচন এবং নিজস্ব কার্যপ্রণালী বিধি প্রণয়ন করবেন।

৪২.৪ কমিশনের বৈঠক সাধারণত জাতিসংঘের সদর দফতরে অথবা জাতিসংঘের জেনেভাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর সাথে পরামর্শক্রমে কমিশন যেরূপ নির্ধারণ করবেন সেরূপ সুবিধাজনক অন্য কোন স্থানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।

৪২.৫ ৩৬ ধারা-এর অধীনে যেরূপ ব্যবস্থা করা হয়েছে সেরূপ জাতিসংঘের সচিবালয় এ ধারার অধীনে নিযুক্ত কমিশনসমূহেরও সেবা করবে।

৪২.৬ কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত এবং পরীক্ষার উদ্দেশ্যে সংগৃহীত তথ্যাদি কমিশনকে দিতে হবে। কমিশন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোকেও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করার জন্য আহ্বান জানাতে পারে।

৪২.৭ কমিশন বিষয়টি পূর্ণরূপে বিবেচনা করার পর, কিন্তু কোনক্রমেই বিষয়টি হাতে নেয়ার বার মাস পরে নয়, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর নিকট প্রেরণ করার জন্য কমিটির সভাপতির কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে।

ক) যদি কমিশন বার মাসের মধ্যে বিষয়টি বিচার-বিবেচনা সমাপ্ত করতে অসমর্থ হয় তবে এর রিপোর্টে শুধু বিষয়টির বিচার-বিবেচনার পর্যায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকবে।
খ) বর্তমান চুক্তিতে স্বীকৃত মানবাধিকারসমূহের প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে যদি বিষয়টি সম্পর্কে বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে উপনীত হওয়া যায়, তবে কমিশন সে সম্পর্কিত ঘটনাবলী ও উপনীত সমাধান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনার মধ্যে এর রিপোর্ট সীমাবদ্ধ রাখবে।
গ) উপ-অনুচ্ছেদ (খ)-এর শর্ত অনুসারে যদি কোন সমাধানে উপনীত হওয়া না যায়, তবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর মধ্যকার বিবাদ সম্বন্ধে সকল প্রাসঙ্গিক ঘটনাবলী এর প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং বিষয়টির বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনা সম্পর্কে কমিশনের রিপোর্টে অভিমত থাকবে।
ঘ) যদি উপ-অনুচ্ছেদ (গ)-এর অধীনে কমিশন এর রিপোর্ট দাখিল করে, তবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষগুলোর রিপোর্ট প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে এর অন্তর্ভুক্ত বক্তব্য স্বীকার করে কি না তা কমিটির সভাপতিকে জানাবে।
২১