পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పాత नॉन b5ों V আমাদের মহা সৌভাগ্য এই যে, উক্ত উভয় গ্ৰন্থই ইংরাজীতে ভাষান্তরিত হয়েছে, এবং সেই দু’খনি ইংরাজী অনুবাদের সাহায্যে শ্ৰীযুক্ত রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় একখানি নবহর্ষচরিত রচনা করেছেন। র্তার রচিত হৰ্ষ-চরিত আমরা অবলীলাক্রমে পড়তে পারি, কিন্তু তিনি অবলীলাক্রমে এ গ্রন্থ রচনা করেননি। বহু পরিশ্রম ক’রে তঁাকে তা” রচনা করতে হয়েছে। প্রথমতঃ বাণভট্টের ইংরাজী তরজমাও সুপাঠ্য নয় । তারপর বাণভট্ট লিখেছিলেন। কাব্য, সুতরাং সমস্ত কাব্যখানিই র্তার মনঃকল্পিত কি না, এ বিষয়ে সন্দেহের অবসর আছে । কেন না, স্বয়ং বাণভট্টই তার রচিত কাদম্বরীর গোড়াতেই লিখেছেন যে, “অলব্ধবৈদগ্ধ্যবিলাসমুগ্ধয়া ধিয়া নিবেদ্ধেয়মতিদ্বয়ী কথা ।” অর্থাৎ যদিচ তার কোনরূপ বৈদগ্ধ্য ছিল না, তবুও তিনি সখের বশীভূত হয়ে কাদম্বরী নামক “অতিদ্বয়ী” কথা একমাত্ৰ মন থেকে গড়েছেন । “অতিদ্বয়ী কথা’র অর্থ সেই কথা-যা বাসবদত্ত ও বৃহৎকথাকে অতিক্রম করে। এ হেন চরিত্রের লেখকের কোন কথার উপর আস্থা রেখে ইতিহাস লেখা চলে না, কেন না, ইতিহাসের কথা মন-গড়া কথা নয়। অথচ বাণভট্টের কথা প্ৰত্যাখ্যান করাও চলে না। কারণ, হর্ষের বালচরিত একমাত্ৰ বাণই বর্ণনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে রাধাকুমুদ বাবুকে বাণভট্টের প্রতি কথাটি যাচিয়ে নিতে হয়েছে। ইংরাজী ভাষায় যাকে inscription বলে, তাই হচ্ছে ইতিহাসের কষ্টি-পাথর। হর্ষের বিষয়ে inscriptionও আছে ; 囚1颈 সেই 313 inscriptioncas at CT তিনি যাচিয়ে দেখেছেন যে, বাণভট্টের হর্ষ-চরিত অক্ষর-ডম্বর হলেও কেবলমাত্র ধ্বনিসার নয় । তার