পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা চৰ্চা ܓܘܗܶ অষ্ট্যাধ্যায়ী ইতিহাসের প্রথম দু’ অধ্যায় বাণ-চরিত, আর শেষ দু’ অধ্যায় হৰ্ষ-চরিত। বাণভট্ট রাজসভায় উপস্থিত হয়ে প্ৰথম এই কথা ব’লে আত্মপরিচয় দেন-“ব্ৰাহ্মণোহস্মিয় জাতঃ সোমপায়িনাং বংশে যাৎস্যায়নো নাম।” তারপর আছে নিজের গুণকীৰ্ত্তন। এ কবির নিজের আভিজাত্য ও বিদ্যার এতদূর গৰ্ব্ব ছিল যে, তিনি ঐ ক্ষুদ্রকায় গ্রন্থের অনেক অংশ নিজের বংশের ও নিজের কথায় ভরিয়ে দিয়েছেন । ও-কাব্য থেকে রাজ-চরিত অপেক্ষা কবি-চরিত উদ্ধার করা ঢের বেশী লোভনীয় ও সহজ । কিন্তু সে লোভ। এখন আমি সম্বরণ করতে বাধ্য, নইলে হর্ষ চরিত লেখা হবে না। বারান্তরে বাণ-চরিত বর্ণনা করব, কারণ, তা করা আমার আয়ত্তের মধ্যে। বাণ-চরিত লিখতে কোনও চৈনিক গ্ৰন্থ কিম্বা শিলালিপির সাহায্য নিতে হবে না । R “কথারস বিঘাতেন। কাব্যাংশস্য চ যোজনা ।” এ জ্ঞান সংস্কৃত কবিদেরও ছিল । তবে বাণভট্ট বোধ হয় মনে করতেন যে, হর্ষচরিতের কথায় কোন ও রস নেই, তাতে যা কিছু রস আছে, সে তঁর লেখায়। সুতরাং উক্ত গ্রন্থে কথাবস্তু অতি যৎসামান্য । অপরপক্ষে রাধাকুমুদ বাবু লিখেছেন ইতিহাস ;-সুতরাং বাণভট্টের রচনার ফুল-পাতা বাদ দিয়ে তার কথাবস্তুর উপরই তার হর্ষচরিত রচনা করতে হয়েছে। আর এক কথা ; বাণভট্ট যখন হর্ষচরিত শেষ করেছেন, তখন হর্ষের Matriculation দেবারও বয়স হয়নি । সুতরাং সে-চরিত্যের অন্তরে ঐতিহাসিক মাল অতি কম, আর কাব্যের মশলাই বেশী। অথচ