পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হর্ষ চরিত SG কিন্তু ভণ্ডি কে ?—তিনি ছিলেন রাণী যশোবতীর ভ্রাতুষ্পপুত্র। কিন্তু যশোবতী কার কন্যা, সে বিষয়ে বাণভট্ট সম্পূর্ণ নীরব ; যদিচ তিনি রাজারাণীদের কুলের খবর বিশেষ ক’রে রাখতেন। • ( . ) কালক্রমে রাজ্যশ্ৰী বিবাহযোগ্য হলেন। যখন তঁর বিবাহ হয়, তখন তিনি বালিকা কিম্বা কিশোরী, বাণভট্ট সে কথা খুলে বলেন নি। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, তার থেকে অনুমান করা যায় যে, একালে সারদা আইনে সে বিবাহ বাধত । একদিন প্রভাকরবদ্ধন, বাহকক্ষস্থ কোন পুরুষ কর্তৃক গীয়মান বাক্ষ্যমাণ আৰ্য্যাটি শুনলেন “উদ্বেগমহাবৰ্ত্তে পাতয়তি পয়োধরোন্নমনকালে । সারিদিব তটমানুবৰ্ষং বিবৰ্দ্ধমান সুতা পিতরম৷” এই গানটি শোনাবামাত্র তিনি যশোবতীকে সম্বোধন ক’রে বললেন, “দেবি তরুণীভুত বৎসা রাজ্যশ্ৰী,”। অতএব আর কালবিলম্ব না ক’রে ওর বিবাহ দেওয়া কৰ্ত্তব্য । এর পরেই প্ৰসিদ্ধ মৌখরী বংশের তিলক স্বরূপ ক্যান্যকুজের রাজা অবন্তিবৰ্ম্মার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ গ্ৰহবৰ্ম্মার সঙ্গে রাজ্যশ্ৰীর বিবাহ হ’ল। এ বিবাহ খুব ঘটা ক’রে দেওয়া হয়েছিল, কেন না, বাণভট্ট খুব ঘটা ক'রে তার বর্ণনা করেছেন। দুঃখের বিষয়, বিবাহ-উৎসব ও বিবাহ-মণ্ডপের সাজসজ্জার বর্ণনা ভাল বোঝা যায় না। বিবাহমণ্ডব “ক্ষুরদ্ভিরিন্দ্রায়ুধ