পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Id नाना 55 সহস্ৰৈরিব সংছাদিতম!” কিসের দ্বারা ?- “ক্ষৌমৈশ্চ বাদরৈশ্চ দুকুলৈশ্চ লালাতন্তুজৈশ্চাংশুকৈশ্চ নেত্ৰৈশচ, নির্মোকিনিভৈর কঠোররম্ভাগৰ্ভকোমলৈনিশ্বাসহাৰ্য্যৈঃ স্পর্শানুমেয়ৈৰ্বাসোভিঃ ” এ-সব জিনিষ কি ? টীকাকার বলেন - বস্ত্ৰবিশেষ ; অভিধানেও এর বেশী কিছু বলে না। তবে আমরা এই পৰ্য্যন্ত অনুমান করতে পারি যে, “বান্দর” খন্দর নয়, কেন না, বান্দরের রূপ ইন্দ্ৰধনুর, আর তা ফুয়ে উড়ে যায়, না হয় ত দেখতে সাপের খোলসের মত ; আর অকঠোররম্ভাগৰ্ভকোমল । সংক্ষেপে এ-সব কাপড় এত মিহি যে, তারা কেবলমাত্র স্পর্শানুমেয় । এ বৰ্ণনা থেকে এইমাত্র জানা যায় যে, হর্ষযুগের ভারতবর্ষ মোটা ভাত মোটা কাপড়ের দেশ ছিল না। বাণভট্টের হর্ষ-চরিত থেকে রাজারাজড়াদের -না হোক, অন্নবস্ত্রের ইতিহাস উদ্ধার করা সহজ । এর কিছুদিন পরে রাজা প্রভাকরবদ্ধন স্থান-পশুদের বধ করবার জন্য রাজ্যবৰ্দ্ধনকে উত্তরাপথে পাঠিয়েছিলেন। হর্ষবৰ্দ্ধনও হিমালয়ের উপকণ্ঠে বাঘভালুক শিকার করতে গেলেন। বলা বাহুল্য যে, হর্ষদেব “স্বল্পীয়োভিরেব দিবসৈনিঃশ্বাপদান্তরণ্যানি চকার” । এমন সময়ে তিনি খবর পেলেন যে, প্রভাকরবদ্ধন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি রাজধানীতে ফিরে এলেন, এবং পরদিনই তার পিতার মৃত্যু হ’ল, ও রাণী যশোবতী সহমরণে গেলেন। তারপর রাজ্যবৰ্দ্ধন দেশে ফিরে এসে কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা হর্ষকে রাজ্যভার গ্ৰহণ করতে অনুরোধ করলেন ; কারণ, পূর্ব হতেই সংসার ত্যাগ করবেন ব’লে তিনি মনস্থির করেছেন, উপরন্তু পিতৃশোক তঁকে একান্ত -কাতর ক’রে ফেলেছে। রাজ্যবৰ্দ্ধন স্পষ্টই বললেন যে, “ন্ত্রিয়ো হি বিষয়ঃ