পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৰ্ষ-চরিত শুচাম! তথাপি কিং করোমি। স্বভাবস্য বেয়ং কাপুরুষতা বা স্ত্ৰৈণং বা যদেবমাস্পদং পিতৃশোকহুতভুজে জাতোহম্মি ।” কিন্তু হর্ষ কিছুতেই বড় ভাইকে টপকে সিংহাসনে চ’ড়ে বসতে সম্মত হলেন না । ( t ) শোকবিমূঢ় ভ্রাতৃদ্বয় কিংকৰ্ত্তব্য স্থির করতে পারছেন না, এমন সময় রাজ্যশ্ৰীর সংবাদক নামক পরিচারক এসে উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলে “যেদিন অবনিপতির মৃত্যুর সংবাদ এল, সেই দিনই দুরাত্মা মালবিরাজ গ্ৰহবৰ্ম্মাকে বধ ক’রে রাজ্যশ্ৰীর পায়ে বেড়ি পরিয়ে কান্যকুজের কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।” এ-সংবাদ শুনে রাজ্যবৰ্দ্ধানের হৃদয়ে শোকাবেগের পরিবর্তে রোষাবেগ স্থান লাভ করলে, ও তিনি হৰ্ষকে সম্বোধন করে বললেন, ঃ- “এ রাজ্য তুমি পালন করে । আমি আজই মালবিরাজকুলের ধ্বংসের জন্য যাত্রা করছি। একমাত্ৰ ভণ্ডি দশ সহস্ৰ অশ্ব-সৈন্য নিয়ে আমার অনুসরণ করুক।” হর্ষ ও এ কথা শুনে বল্লেন, “আমিও তোমার অনুগমন করতে প্ৰস্তুত-যদি বাল ইতি তহি ন ত্যজ্যোহস্মি ৷ অশক্ত ইতি ক পরীক্ষিতোহস্মি।” কিন্তু রাজ্যবৰ্দ্ধন এ পরীক্ষা করতে স্বীকৃত হলেন না, বালক হৰ্ষকে ত্যাগ ক’রে একাই যুদ্ধযাত্রা করলেন । এর ক”দিন পরেই কুন্তল নামক অশ্ববার এসে সংবাদ দিলে যে,