পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৰ্ষ-চরিত ܠܬܬ মুক্ত হয়ে সপরিবারে বিন্ধ্যারণ্যে প্ৰবেশ করেছেন, এ কথা আমি লোকমুখে শুনেছি, এবং তার খোজে বহু লোক পাঠিয়েছি ; কিন্তু তারা কেউ ফিরে আসেনি ।” এ কথা শুনে হর্ষ বললেন,-“অন্য লোকের কি প্রয়োজন ? অন্য কৰ্ম্ম ত্যাগ ক’রে যেখানে রাজ্যশ্ৰী আছেন, সেখানে স্বয়ং আমি যাব, আর তুমি সৈন্য-সামন্ত নিয়ে গৌড়াভিমুখে গমন করে।” এর পর হর্ষ মালবিরাজকুমার মাধবগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে বিন্ধ্যারণ্যে প্ৰবেশ করলেন, এবং বৌদ্ধ-ভিক্ষু দিবাকর মিত্রের আশ্রমে রাজ্যশ্ৰীর সাক্ষাৎ পেলেন । যখন হর্ষ দিবাকর মিত্রের আশ্রমে উপস্থিত হলেন, তখন রাজ্যশ্ৰী চিতায় প্ৰবেশ করতে উদ্যত হয়েছেন। হর্ষ ও দিবাকর মিত্র তাকে আত্মহত্যা থেকে নিরস্ত করলেন। রাজ্যশ্ৰী বৌদ্ধভিক্ষুণীর ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হবার জন্য দিবাকর মিত্রের কাছে প্রার্থনা জানালেন । দিবাকর মিত্র সে প্রার্থনা মঞ্জর করতে স্বীকৃত হলেন না, দু’ কারণে । প্রথমতঃ রাজ্যশ্ৰীর বয়েস অল্প, দ্বিতীয়তঃ সে শোকগ্ৰস্ত । তারপর হর্ষ যখন ভগ্নীকে কথা দিলেন যে, তিনিও ভ্ৰাতৃমরণের প্রতিশোধ নিয়ে পরে কষয়বসান ধারণ করবেন, তখন রাজ্যশ্ৰী সে ক’টা দিন অপেক্ষা করতে স্বীকৃত হলেন । এইখানেই বাণভট্টের হর্ষ-চরিত শেষ হ’ল । ( > 0 ) বাণভট্ট যে কেন এইখানেই থামলেন, তা আমাদের অবিদিত, এবং তা জানিবারও কোনও উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা শুধু নানারূপ