পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৬

Yè).Ve নানা চৰ্চা বহির্গত হন । ঠিক কতদিন পরে তা আমরা জানিনে। যদি ধ’রে নেওয়া যায় যে তার “গমনাগমন” সুরু হয় ১৫১০ খৃষ্টাব্দে, তাহ’লে তিনি কবিরাজ গোস্বামী মহাশয়ের হিসেবমত ১৫১৬ সালে “মথুরা হইতে প্ৰয়াগ গমন” করেন। অপর পক্ষে তার মৃত্যুর আঠার বৎসরের আগের হিসেব ধরলেও ঐ একই তারিখে পৌছানো যায়, কারণ মহাপ্রভুর তিরোভাবের তারিখ হচ্ছে ১৫৩৪ খৃষ্টাব্দ । সিকান্দর লোদি ছিলেন, হিন্দুধৰ্ম্মের মারাত্মক শত্ৰু । উক্ত পাতাশার পরিচয় নিম্নোদ্ধত কথা-কটি হ’তে পাওয়া যাবে। “The greatest blob on his character was relentless bigotry. The wholesale destruction of temples was not the best method of conciliating the Hindus of a con quered district.” (Cambridge History of Jndia, Vol. 3, p. 246) চৈতন্যদেব যখন বৃন্দাবনে উপস্থিত হন, তখন সে দেশে যে দেবমন্দির ও বিগ্ৰহাদির ধ্বংসলীলা চলছিল, তা চৈতন্যচরিতামৃতের নিম্নোদ্ধত শ্লোকগুলি হতেই জানা যায়। মহাপ্ৰভু অতিকষ্টে গোপালজীর দর্শন লাভ করেন । কারণ, “অন্নকূট নাম গ্রামে গোপালের স্থিতি। রাজপুত লোকের সেই গ্রামেতে বসতি ৷ একজন আসি রাত্ৰ্যে গ্রামিকে বলিল । তোমার গ্রাম মারিতে তুড়ক ধারি সাজিল ৷