পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৮

Sobr নানা চৰ্চা 8 এই সময়েই হিন্দুধৰ্ম্ম নূতন প্ৰাণ পায়। তাই উক্ত ধৰ্ম্মের প্রতি পাতশাদের মনে নববিদ্বেষও জাগ্রত হয়। এই নব হিন্দুধৰ্ম্ম নবরূপ ধারণ ক’রে আবির্ভূত হয়। জ্ঞান-কৰ্ম্মকে প্ৰত্যাখ্যান ক’রে এ ধৰ্ম্ম একমাত্ৰ, ভক্তি. প্ৰধান হয়ে ওঠে। পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রামানন্দ যে ভক্তির ধৰ্ম্ম উত্তরাপথে প্রচার করেন, সে ধৰ্ম্ম বহুলোকের হৃদয়-মন স্পর্শ করে। “শুষ্ক জ্ঞান” ও “বাহকৰ্ম্মের” ব্যবসায়ীদের অর্থাৎ হিন্দুসমাজের ধৰ্ম্মযাজকদের ও বেদান্ত-শাস্ত্রীদের যে এই ভক্তিধৰ্ম্মের প্রতি অসীম অবজ্ঞা ছিল, তার প্রমাণ বৈষ্ণবগ্রন্থে পাতায় পাতায় আছে । অপর পক্ষে মৌলবীদের অর্থাৎ মুসলমান ধৰ্ম্মশাস্ত্রীদের বিদ্বেষের একটি বিশেষ কারণ ছিল । তারা ভয় পেয়েছিলেন যে, এই প্ৰবল ভক্তির স্রোতে অনেক মুসলমানও হয়ত ভেসে যাবে, এবং আমার বিশ্বাস, এই শাস্ত্রীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েই সেকালের মুসলমান পাতশারা এই নব হিন্দুধৰ্ম্মের উপর খড়গহস্ত হয়ে উঠেন। অন্ততঃ সিকান্দর লোদির মন ত was warped by habitual association with theologians. শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল শীল, সেকালের জনৈক ব্ৰাহ্মণের নব ধৰ্ম্মমত প্রচার করার অপরাধে প্ৰাণদণ্ডের কথা উল্লেখ করেছেন। Cambridge History of India থেকে উক্ত ঘটনাটির বিবরণ নিম্নে উদ্ধত ক’রে দিচ্ছি। "Sikandar had an opportunity while at Sambul of displaying the bigotry which was a prominent feature of his character. A Brahmin of Bengal excited some interest