পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 নানা চৰ্চা না। যখন পৃথিবী জলময় ছিল, তখন পৃথিবী একাকার ছিল ৷ একাকারের কোনরূপ জ্ঞান হতে পারে না, হতে পারে শুধু ধ্যান। এ কথা মনুও বলে গিয়েছেন “আসীদিদং তমোভুতম প্ৰজ্ঞাতমলক্ষণম। অপ্ৰতর্ক্যামবিজ্ঞেয়ং প্ৰসুপ্তমিব সৰ্ব্বত: ||” যেদিন মাটির উদ্ভব হল, সেই দিনই পৃথিবীর নানা আকার ঘটুল, সেই দিন থেকেই তা জ্ঞানের বিষয় হল।) পৃথিবীর ভাগ এখন শোনো, অপ থেকে যখন ক্ষিতির উদ্ভব হল, তখন মাটি একলক্ত ভাবে উদ্ভূত হল না, হল খণ্ড খণ্ড ভাবে। প্ৰাচীন শাস্ত্রকাররা বলেন যে, মেদিনী সপ্তদ্বীপ আকারে ব্যক্ত হয়েছে। এই দ্বীপ শব্দটার অর্থ তোমরা সবাই জানো । যার চারিদিকে জল আর মাঝখানে স্থল, তাকেই আমরা বলি দ্বীপ। এ হিসাবে আজকের দিনে পৃথিবীতে সাতটি নয়, অসংখ্য দ্বীপ আছে। সমুদ্রের মধ্যে থেকে অসংখ্য ছোটবড় দ্বীপ মাথা তুলে রয়েছে। ry সুতরাং এ স্থলে সপ্তদীপ অর্থে সাতটি মহাদ্বীপ বুঝতে হবে। এই মহাদ্বীপকে আমরা একালে মহাদেশ বলি। আজকের দিনে আমরা পৃথিবীকে চারটি মহাদেশে ভাগ করি-যথা ইউরোপ, এসিয়া, আফ্রিকা ও আমেরিকা। অষ্ট্রেলিয়াকে আমরা আজও মহাদ্বীপ বলেই জানি, মহাদেশ বলে মানিনে । মহাদেশ বলতে যদি মহাদ্বীপ বোঝায়, তাহলে পৃথিবীতে চারটি নয়,