পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের জিওগ্রাফি । G তিনটি মাত্ৰ মহাদ্বীপ আছে :-প্রথম ইউ-রেসিয়া, দ্বিতীয় আফ্রিকা, তৃতীয় আমেরিকা। গ্লোবের প্রতি একবার দৃষ্টিপাত করলেই দেখতে পাবে যে, গোটা ইউরোপ ও গোটা এসিয়ার ভিতর কোথাও জলের ব্যবধান নেই। এ দুই দেশের জমি একলক্ত। আর এই আদি মহাদেশটি হচ্ছে একটি (23rs at as esc: Arctic Sea, ific Indian Ocean, fist, Atlantic S *t:Á Pacific Ocean ; S | | StiffTis! EScs! 8 °iss(\ Atlantic এবং দক্ষিণে ও পূর্বে Indian Ocean । আর আমেরিকার 2fast, Pacific, পূর্বে Atlantic, উত্তরে উত্তর-Arctic ও দক্ষিণে দক্ষিণArctic সাগর। Eurasia-র সঙ্গে অপর দুটি মহাদেশের গড়নেরও একটা স্পষ্ট প্ৰভেদ আছে। Eurasia-র বিস্তার পুব হতে পশ্চিমে, অপর দুটির উত্তর হতে দক্ষিণে ! অর্থাৎ ইউরেসিয়া লম্বার চাইতে চওড়ায় বেশি ; আফ্রিকা ও আমেরিকা চওড়ার চাইতে লম্বায় বেশি । এই আকারভেদ একদেশের সঙ্গে অপর দেশের অনেক প্ৰভেদ ঘটিয়েছে । তোমরা সবাই জানো যে Eurasia ও আফ্রিকাকে আমরা প্ৰাচীন পৃথিবী বলি, ও আমেরিকাকে নবীন। এর প্রধান কারণ প্ৰাচীন পৃথিবীর লোক পাঁচ শ” বৎসরু পূর্বে আমেরিকার অস্তিত্বের কথা জানত না। তবে এ নাম শুধু লৌকিক নয়, বৈজ্ঞানিক হিসেবেও ঠিক। এই নবীন পৃথিবীর জন্ম প্রাচীন পৃথিবীর পরে হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক বিষয়ে এই নতুন পৃথিবী প্ৰচুন পৃথিবীর ঠিক উণ্টো। বিলাতে (Greenwich) যখন দিন দুপুর, আমেরিকায় (New Orleans) তখন রাতদুপুর । কেন এরকম হয়, সে কথা আর আজ বলব না ; কারণ তা বোঝাতে হলে আমাকে মাটি থেকে আকাশে উঠতে হবে। এ ব্যাপারের ব্যাখ্যার ভিতর শুধু