পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব ও পশ্চিম ( . ) জ্ঞান হয়ে অবধি পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে যে - মস্ত একটা প্ৰভেদ আছে, এইরকম একটা কথা শুনে আসছি । কিন্তু সে প্ৰভেদটা যে কি ও কোথায়, তা এতদেশীয় কোন বক্তা কি লেখক আমাদের স্পষ্ট করে। বুঝিয়ে দেননি। অন্ততঃ আমার মন যে-সকল কথায় সম্পূর্ণ সায় দিতে পারে, এমন কথা আমিত অন্যাবধি কোনও স্বদেশী বক্তা কিম্বা লেখকের মুখে শুনিনি। পূৰ্ব্ব-পশ্চিমের কথা উঠলেই, সুৰ্য্যের উদয়-অস্তের কথাই প্ৰথমে মনে পড়ে। আর তার পিঠা পিঠ নানারকম উপমা এসে আমাদের নয়ন মন অধিকার করে বসে। যথা, সভ্যতার উদয় পূর্বে, অস্ত পশ্চিমে। আলো আগে পূবে উঠে, তারপর পড়ে পশ্চিমে-ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলে জিওগ্রাফির পূর্ব অলক্ষিতে আমাদের মনে হিষ্টরির পূর্ব হয়ে ওঠে, আর তখন আমরা দেশের ধৰ্ম্ম কালের উপর আরোপ করি, আর কালের ধৰ্ম্ম দেশের উপর । আর এর ধৰ্ম্ম ওর ঘাড়ে চাপাবার ফলে আমাদের মন চিন্তা রাজ্যে দিশেহারা হয়ে যায় । সত্য কথা এই যে, যখন আমরা পূৰ্ব্ব-পশ্চিমের কথা বলি, তখন আমরা ইউরোপ ও এসিয়ারই ভেদাভেদের কথা ভাবি । বৰ্ত্তমান ইউরোপের সঙ্গে বৰ্ত্তমান এসিয়ার অবশ্য “কতকগুলো স্পষ্ট প্ৰভেদ আছে। সাংসারিক হিসেবে ইউরোপ সমৃদ্ধ, এসিয়া দরিদ্র। দেহেমনে যে-সকল গুণের সদ্ভাবে