পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা চৰ্চা ر পৃথিবী নয়, সুৰ্য,চন্দ্রকেও টেনে আনতে হবে । কেননা জিওগ্রাফি কতক sÇACIK Astronomy-3 ख्ञृङ्ङा SNS Astronomy COsNSS

জানো না, আমি ও জানিনে را উত্তর খণ্ড দক্ষিণ খণ্ড আর একটি কথা শোনো । আমাদের শাস্ত্ৰকারদের মতে এই বিশ্ব আদিতে ছিল ব্ৰহ্মাণ্ড নামে একটি অণ্ড । পরে ভগবান সেই অণ্ডকে দ্বিখণ্ড করে’, তার উৰ্দ্ধখণ্ড দিয়ে স্বৰ্গ ও অধঃখণ্ড দিয়ে পৃথিবী রচনা করেন--আর এ দুয়ের মধ্যে আকাশ সৃষ্টি করেন । কিন্তু একালে আমরা পৃথিবীকে আধখানা ডিমের সঙ্গে তুলনা করিনে ; আমরা বলি পৃথিবীর চেহারা ঠিক একটি কমলা লেবুর মত। r সেই কমলা লেবুটিকে যদি ঠিক মাঝখানে কাটো, তাহলে এই কাটা জায়গাটার নাম হবে। Equator ; তার উপরের আধখানার নাম হবে উত্তর hemisphere, আর নীচের অংশটির নাম তবে দক্ষিণ hemisphere । পৃথিবীর এই দুই খণ্ডের চরিত্র কোন কোন বিষয়ে ঠিক পরস্পরের বিপরীত। যথা, উত্তরাখণ্ডে যখন গ্রীষ্মকাল, দক্ষিণাখণ্ডে তখন শীতকাল। তারপর এই দুই খণ্ডের গড়নেও ঢের প্রভেদ আছে। দক্ষিণাখণ্ডে যতখানি মাটি আছে, উত্তরাখণ্ডে প্ৰায় তার দ্বিগুণ আছে। এর থেকে অনুমান করতে পার যে, উত্তরাখণ্ডের জলবায়ুর সঙ্গে দৃক্ষিণ খণ্ডের জলবায়ুর বিশেষ প্ৰভেদ আছে। আর জলবায়ুর প্রভেদ থেকেই ভৌগোলিক হিসেবে এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের প্রভেদ হয়। (তোমরা সবাই জানো যে, জল ও বায়ু স্থির পদার্থ নয়—ও দুই-ই চঞ্চল, ও দুয়েরই স্রোত