পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRR নানা চৰ্চা আর কৰ্ম্মযোগী হওয়াই ইউরোপের বড় আদর্শ। তা ছাড়া এসিয়ার দর্শনের সার কথা হচ্ছে অহং ( subject ) এবং ইন্দং ( object )-এর অভেদজ্ঞান। অপরপক্ষে ইউরোপের মন এ দুয়ের একান্ত ভেদজ্ঞানের উপরই প্রতিষ্ঠিত। এখন জিজ্ঞাস্য যে- এই এসিয়াটিক মনোভাব ইউরোপীয় মনের অন্তরে কোন ছিদ্র দিয়ে কি সুত্রে প্রবেশ করছে ? Massis বলেন-প্ৰথমত জৰ্ম্মণীর, দ্বিতীয়ত রাষিয়ার মারফৎ শনিমঙ্গলবারের মড়া দোসর খোজে। গত যুদ্ধের পর জন্মাণী যখন আবিষ্কার করলে তার স্বাগান্ধ সভ্যতা ম্রিয়মাণ হয়েছে, তখন সে বাদ-বাকী ইউরোপীয়দের ধ্বংসপথের যাত্রী করবার জন্য আগ্ৰহান্বিত হয়ে পড়ল । জৰ্ম্মণী কামানের গোলা দিয়ে যখন ইউরোপকে মারতে পারলে না, তখন সে সাহিত্যিক poison-gas দিয়ে ইউরোপীয়দের মোহাচ্ছন্ন করবার চেষ্টা সুরু করলে। আর আমাদের মন ও চরিত্র দুৰ্ব্বল করবার তারা অব্যৰ্থ উপায় ঠাউরেছে, এসিয়ার ধৰ্ম্মমত ইউরোপীয় সাহিত্যে প্রচার করা । তারা সকলে আমাদের বোঝাচ্ছে যে, মুক্তির মানে নিৰ্ব্বাণ, আর নির্বাণপ্ৰাপ্তিই ইউরোপীয়দের আদর্শ হওয়া উচিত। Spengler, Keyserling (2iyf5 এ যুগের জন্মাণ দার্শনিকের প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ। আর রুষ সাহিত্যেরও প্রধান কথা হচ্ছে যে, ইউরোপ এতদিন ধরে যে সভ্যতার সাধন করে এসেছে, তার ষোল কড়াই কাণা ৷ ধৰ্ম্ম রীতিনীতি প্রভৃতিকে জলাঞ্জলি দিলেই মানুষ দেবতা হয়ে উঠবে, এই হচ্ছে রুষ সাহিত্যের বাণী। আর রাষিয়ানরা যে এসিয়াটিক, তা সকলেই জানে। এ ছাড়া ফ্রান্সের বহুলোক আজ Lao-t-se ও বুদ্ধের ভক্ত शम्न जैठेCछ ।