পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৫

পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম २२ © ( t7 ) এখন এর উত্তরে Jaloux কি বলেন শোনা যাৰু । তিনি বলেন যে, Massis-3 a brit bizáT এতই অপূৰ্ব্ব এবং তার চিন্তা" এতই সুশৃঙ্খলিত যে, র্তার লেখা প্ৰথমেই মনকে অভিভূত করে, এবং তখন মনে হয় যে, র্তার সকল কথাই ত সত্য। লেখক হিসাবে মাসির শক্তির মূলে আছে, তার ধৰ্ম্মনীতি প্ৰভৃতি জিনিষে অটল বিশ্বাস । তার মনে কোনরূপ সন্দেহ নেই। যার মনে কোনরূপ দ্বিধা নেই, সে ব্যক্তির অদম্য শক্তির পরিচয় কৰ্ম্মজগতেও যেমন পাওয়া যায়, মনোজগতেও তেমনি । কিন্তু আমাদের মন যখন নানা বিষয়ে সন্দেহ-দোলায় দোলায়মান, তখন মাসির কথার মোহ কেটে গেলেই আমাদের মনে নানারূপ প্রশ্ন ওঠে। তিনি আমার মনে যে সকল জিজ্ঞাসার সৃষ্টি করেছেন, একে একে সেগুলি প্ৰকাশ করছি । ইউরোপের বাৰ্ত্তমান মনোভাব দেখে মাসি যে ভয় পেয়েছেন, সে ভয় আকারণ নয়। বৰ্ত্তমান ইউরোপের লোকের প্রকৃতি যে মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়ছে, এ বিষয়ে আমরা সকলে একমত। এমন কি ইউরোপের যে-দলের লোক সব চাইতে জ্ঞানান্ধ-অর্থাৎ politician-রা-গতি যুদ্ধের ধাক্কা খেয়ে তারাও চোখ মেলে দেখছেন যে, যাকে তারা ইউরোপীয় সভ্যতা বলেন, তার অন্তরে ঘুণ ধরেছে। কিন্তু আমাদের এই অধোগতির জন্য এসিয়া কি হিসেবে দায়ী, তা ঠিক বোঝা গেল না। এসিয়ার কথা মনে করতে মাসির মন কি জন্য আতঙ্কে ভরে ওঠে ? তিনি কি ভয় পান - এসিয়া আমাদের বাহুবলে পঙ্গু করবে, না মন্ত্রবলে নিৰ্জীব করবে ? তার ভয়টা পলিটিকাল না। দার্শনিক ?-- মাসি হয় ত৷