পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ব ও পশ্চিম FRA কিম্বা অদ্বৈতবাদের চূড়ান্ত মীমাংসা করে তারপর জীবনযাত্ৰা নিৰ্বাহ করতে আরম্ভ করে না। ধরে নেওয়া যেতে পারে পৃথিৰীর অপর দেশেও যেমন, ভারতবর্ষেও তেমনি metaphysics-cast 19 আছে, ཅི་ཕུ་ metaphysician-C3 কাছে। অন্যান্য দেশেরও যেমন, সে দেশেরও তেমনি সভ্যতা গড়ে উঠেছে বহুবিধ মানব মনোভাৰোঁর উপর। যে ধৰ্ম্মমতকে Massis ইউরোপীয়দের একচেটে মনে করেন, আমার বিশ্বাস ভারতবর্ষে তার সন্ধান মিলবে। এক দেশের লোক ষে আগাগোড়া কৰ্ম্মযোগী, আর অপর এক দেশের লোক যে আগাগোড়া জ্ঞানযোগী, এরকম রূপকথায় ছোট ছেলেরাই শুধু বিশ্বাস করে। আর যদি তাই হয় ত, ইউরোপের জন্য Massis-র কোনও ভয় নেই। ইউরোপের সৰ লোক-মায় কুলিমজুর, পলিটিসিয়ান, কলওয়ালা—সবাই যে জ্ঞানযোগী হয়ে উঠবে, তার কোনও সম্ভাবনা নেই । বৰ্ত্তমান ইউরোপ যে তার পূর্ব spiritual সভ্যতা থেকে ভ্ৰষ্ট হয়েছে তার কারণ, তারা সব অতিমাত্রায় materialism-এর ভক্ত হয়ে উঠেছে। সুতরাং তারা যে Si<si fospirituality- বশবৰ্ত্তী হবে তার বিন্দুমাত্র সস্তাবনা নেইসস্তাবনা আছে শুধু আর এক বিপদের। সে বিপদ এই যে, নবীন এসিয়ার লোক সব নকল ইউরোপীয়ান হয়ে উঠবে। আমাদের ব্যবহার দেখে ও আমাদের দত্ত শিক্ষাদীক্ষা লাভ করে, তারাও সব পলিটিক্স ও industrialism-এর মহাভক্ত হয়ে উঠবে, আর তখন বুদ্ধদেবের বাণী এসিয়ার কোনও লোক আর প্রচারও করবে না, কেউ তার প্রতি কৰ্ণপাতও করবে না। ইউরোপই এখন এসিয়ার মনকে ‘বিপৰ্য্যন্ত করছে ; এসিয়া বেচারা ইউরোপের মন ঘুলিয়ে দিচ্ছে না।