পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুরোপীয় সম্ভ্যতা বস্তু কি ? Rළු% এ সত্যটি যুরোপীয়দের স্মরণ করিয়ে দেবার আবশ্যক ছিল। কারণ, গত শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক দার্শনিকুৱা প্ৰমাণ করেছিলেন যে, য়ুরোপীয়দের মাহান্ত্ৰ্যের মূলে আছে য়ুরোপের মাটি। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বলেছেন যে, “বিলেত দেশটা মাটির।” ও-কথা শুনে আমরা হেসে কুটি-কুট হয়েছিলুম, কিন্তু যুরোপীয় বৈজ্ঞানিক দার্শনিকরা আমাদের বুঝিয়েছিলেন যে, বিলেত দেশটা মাটিৱ হ’লেও, যে-ন্সে মাটির নয়-একেবারে বিলেতী মাটির। অতএৰ তা নিগুণ নয়, সগুণ। আমরাও দেখতে পাই যে, নেংড়া-আমের আঁঠি বাংঙলায় পুতলে সে আঁঠির গাছে আম ফলে না, ফলে আমড়া । মাটির গুণের ভক্ত হবার জন্য, বৈজ্ঞানিক হবার প্রয়োজন নেই, কবি হলেই আমরা ভক্তিগদগদকণ্ঠে “আমার দেশ” বলতে বলতে দশাপ্ৰাপ্ত হতে পারি। অনেক ছেলেমি কথা পাকামি ক’রে বললেই যে তার নাম হয় বৈজ্ঞানিকদর্শন, তার পরিচয় উনবিংশ শতাব্দীর যুরোপীয় শাস্ত্ৰে দেদার মেলে। সুতরাং যুরোপের অশিক্ষিত ও অৰ্দ্ধশিক্ষিত সম্প্রদায়কে, এ কথাটা বুঝিয়ে দেওয়া আবশ্যক যে, একমাত্ৰ মাটির উপর আস্থা রেখে নিশ্চিন্ত থাকা साभ्रे व्ा । অবশ্য অধ্যাপক Haas যে ঠিক কি বলেছেন, তা বোঝা যায় না। দেশকালের ব্যবধান অতিক্রম করবার কৌশল আজি মানুষের করায়ত্ত । তাই ব’লে নানাদেশের যে position বদলে গেছে, তা নয়-অবশ্য position ব’লে বস্তুর যদি কোন অবস্থা থাকে। নব-অঙ্কের ঠেলায় here শুনছি now श्म ब्रिgछ । 6न शाश् হোক, বিলেতও ভারতবর্ষ হয়ে যায়নি, ভারতবৰ্যও বিলেত হয়ে যায়নি। এক দেশের সঙ্গে অপর দেশেৱ physical ব্যবধান কমে গিয়েছে বলেই, তাদের ভিতর psychological