পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়ুরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি ? २8१ the example of the Greeks, it will once more find its chief aim in the shaping of man. Let us hope so. For it has become very necessary.” আমি জিজ্ঞাসা করি, মানুষ তৈরি করা কি সভ্যতার শেষ কথা না প্রথম কথা ? আগে মানব-সভ্যতা গ’ড়ে তারপর মানুষ গড়া, গাড়ীর লেজে ঘোড়া জোতার মত বৈজ্ঞানিক ব্যাপার নয় কি ? ( ১৩ ) যুরোপীয় সভ্যতা যে কালে ভেঙ্গে পড়বে, এ ভয় আমরা পাইনে । কারণ, যে গুণে যুরোপ সভ্য, সে গুণের ধ্বংস নেই। জৰ্ম্মাণ অধ্যাপক ও ফরাসী সাহিত্যিক উভয়ের মতেই পুরাকালের গ্রীক দৰ্শন ও বিজ্ঞান, রোমের কল্পিত ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও মধ্যযুগের ধৰ্ম্মমনোভাবই যুরোপীয় সভ্যতার মাল-মশলা । এক কথায়, য়ুরোপীয়দের মনই তাদের সভ্যতা গড়েছে। গ্ৰীক সভ্যতা অনেক কাল হ’ল ভেঙ্গেচুরে গিয়েছে, কিন্তু গ্ৰীক দৰ্শন ও গ্রীক সাহিত্য আজও মানুষকে সভ্য করছে। রোমের সাম্রাজ্য সেকালে যুরোপের অসভ্য জাতিদের এক ধাক্কায় সমুলে বিনষ্ট হয়েছিল ; কিন্তু আজও সমগ্র সভ্য জগৎ রোমের বিধিনিষেধ শাস্ত্ৰ মেনেই জীবনযাত্ৰ নিৰ্বাহ করছে। মধ্যযুগের ধৰ্ম্মপ্ৰাণ সভ্যতার বিষয় আমরা বেশি কিছু জানিনে, সুতরাং জৰ্ম্মাণ ও ফরাসী দার্শনিক ও সাহিত্যিকদের কথা মেনে নিতে আমার কোনও আপত্তি নেই। মধ্যযুগের সভ্যতা জ্ঞানকৰ্ম্মহীন ছিল। একমাত্র ভক্তির উপর কোন সভ্যতাই চির-প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে না । ফলে