পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RWR नाना 55 কোনই প্রয়োজন নেই। William Archer প্ৰভৃতি সে বিশিষ্টতা সম্পূর্ণ মানেন ; আমাদের উপর তাদের রাগ এই যে, আমরা আমাদের প্রাচীনতা ত্যাগ করে নবীন হবার চেষ্টা করছি। ফলে আমাদের সমাজ এখন হয়েছে প্ৰবীণ-নবীন ওরফে সভ্যাসভ্য। East এবং West যে ভারতবর্ষে meet করেছে, এই হচ্ছে আমাদের অপরাধ ; কেননা এই মিলনের ফলে কতকগুলি দুরন্ত সমস্যা জন্মলাভ করেছে। কিন্তু তার জন্য দায়ী কি আমরা ? পূৰ্ব্বাপর সভ্যতার এই মিলন ও মিশ্রণ যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার নয়, তার প্রমাণ ইউরোপের বর্তমান সভ্যতাও ত প্ৰবীণ-নবীন, ইউরোপীয় পণ্ডিতমণ্ডলী যার নাম দিয়েছেন antico-modern. বৰ্ত্তমান ইউরোপীয়ের যে-অংশে ও যে-পরিমাণে জ্ঞানে গ্ৰীক, কৰ্ম্মে রোমান ও ভক্তিতে ইহুদি, সেই অংশে ও সেই পরিমাণে তারা সভ্য, এবং বাদবাকী অংশে তারা হচ্ছে শুধু সাদা মানুষ। যদি বৰ্ত্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা antico-modern হ’তে পারে, ত ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ সভ্যতা কেন যে antico-modern হ’তে পারবে না, তা আমার বুদ্ধির অগম্য। তবে এ ক্ষেত্রে ইউরোপের সঙ্গে ভারতবর্ষের একটু প্ৰভেদ আছে। ইউরোপ তার নবীন সভ্যতার গায়ে প্রাচীন সভ্যতার কলম বসিয়েছে, অপর পক্ষে ভারতবর্ষ তার প্রাচীন সভ্যতার গায়ে নবীন সভ্যতার কলম বসাচ্ছে। ফল কোনটায় ভাল ফলবে, সে কথা বলতে পারে শুধু বৃক্ষায়ুৰ্ব্বেদীরা । তবে সহজ বুদ্ধিতে ত মনে হয় যে, নূতনের ঘাড়ে পুরাতনকে ভর করতে দেওয়ার চাইতে, নূতনকে পুরাতনের কোলে স্থান দেওয়াই বেশি স্বাভাবিক ।