পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 নানা চৰ্চা A যে একটি সমভুজ ত্রিকোণ দেশ বলা হয়েছে, সে উক্তিকে গ্ৰাহ করে নিতে আমাদের কোনও আপত্তি হওয়া উচিত নয়। পৃথিবীতে এমন কোনই দেশ নেই, যা সম্পূর্ণ একাকার। ভারতবর্ষও একাকার নয় । অর্থাৎ ভারতবর্ষকেও নানা খণ্ডে বিভক্ত করা যায়। এখানে একটি কথা বলে রাখি। রাজ্যের ভাগের সঙ্গে ভৌগোলিক ভাগের বিশেষ কোনও সম্বন্ধ নেই। অৰ্দ্ধেক পৃথিবী আজ ব্রিটিশরাজের অধীন ; কিন্তু তাই বলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ক্যানেড, অষ্ট্রেলিয়া ও ভারতবর্ষকে পাগল ছাড়া আর কেউ এক দেশ বলবে না। আমি যে ভাগের কথা বলছি, সে ভৌগোলিক ভাগ । ) আমাদের শাস্ত্ৰে ভারতবর্ষকে নানা ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে । পুরাণকারীদের মতে ভারতবর্ষ নবখণ্ড । ། বরাহমিহির প্রভৃতি গণিাৎশাস্ত্রীরা পোরাণিকদের সঙ্গে একমত। যদিচ এ দুয়ের বর্ণিত নবখণ্ডের মিল নেই। : মহাভারতের মতে এ দেশ চার খণ্ডে বিভক্ত। ( চারটি Equilateral triangle-A affa RÇg TsiąV543 নামক दएछ Equilateral triangle v GJfffS fŘICK CREC<F Rf S CE, KI“R সত্যের কাছ ঘেঁসে যায়, কিন্তু ভৌগোলিক হিসেব থেকে অনেক দূরে থাকে। সে যাই হােক,সংস্কৃত সাহিত্যে আর একরকম ভাগের উল্লেখ আছে। ভারতবর্ষ মোটামুটি দু’ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগের নাম উত্তরাপথ, অপরটির দক্ষিণাপথ । এই লৌকিক ভাগটিই প্ৰকৃতপক্ষে বৈজ্ঞানিক। উত্তরাপথ ভৌগোলিক হিসেবে দক্ষিণাপথ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন । হিমালয় যেমন সমস্ত এসিয়ার মেরুদণ্ড, বিন্ধ্যপর্বত তেমনি ভারত