পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের জিওগ্রাফি YC বর্ষের মেরুদণ্ড । এ স্থলে আমি সাতপুরা ও আরাবলি পর্বতকে বিন্ধ্য নামে অভিহিত করছি। উত্তরে হিমালয় ও দক্ষিণে বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের মধ্যের দেশকে উত্তরাপথ বলা যায়—আর দক্ষিণে বিন্ধ্যপৰ্ব্বত থেকে ভারত মহাসাগরের মধ্যবিত্তী দেশকে দক্ষিণাপথ বলা যায়। কিন্তু তোমরা ম্যাপের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই দেখতে পাবে, আরাবলি পৰ্ব্বতের পশ্চিমে ও রাজমহলের পূর্বেও অনেকখানি জমি পড়ে রয়েছে। এই পশ্চিম অংশের নাম পাঞ্জাব ও সিন্ধু দেশ, আর পূর্ব অংশের নাম বঙ্গদেশ ও আসাম । এ দুটিকেও উত্তরাপথের অন্তর্ভূত করে নিতে হবে । উত্তরাপথ প্রথম জিনিষ যা চোখে পড়ে সে হচ্ছে এই যে, এই বিস্তৃত ভূভাগের ভিতর কোনরূপ পাহাড়পৰ্ব্বত নেই-সমস্ত উত্তরাপথ সমতল ভূমি। এর ভিতর এক জায়গায় শুধু একটু অপেক্ষাকৃত উচু জমি আছে। পাঞ্জাব ও হিন্দুস্থানের মিলনস্থল হচ্ছে সেই উচ্চ ভাগ । উত্তরাপথের এই জায়গাটার গড়ন কা ছিমের পিঠের মত । ফলে এ স্থানের পশ্চিমের যত নদী সব পশ্চিমবাহিনী ও পূর্বের যত নদী সব পূর্ববাহিনী । এই পশ্চিম ভাগের নদী পাচটির নাম ঝিলম, চেনাব, রাবি, বিয়াস ও সংলেজ। এ পুচুটিরও জন্মভূমি হচ্ছে হিমালয়, আর এ পাঁচটিই পথিমধ্যে এ-ওর সঙ্গে মিলিত হয়ে শেষটা ভারতবর্ষের সব চাইতে পশ্চিমের নদী সিন্ধু নদের সঙ্গে মিশে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে। তোমরা বোধহয় জানো যে, পাহাড় থেকে নদী যে মাটি কেটে নিয়ে আসে, সেই মাটি দিয়েই সমতল