পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা চৰ্চা ܘ ܢ জলপথ নেই । গঙ্গানদী বিন্ধ্যপর্বতকে প্ৰদক্ষিণ করে ও সিন্ধুনদ সে পৰ্বতকে বায়ে ফেলে রেখে তারপর সমুদ্রে এসে পড়েছে। তারপর এ দুয়ের ভিতর কোনও স্থলপথও নেই। এক রেলের গাড়ী ছাড়া আর কোনও রকম গাড়ী-গরুর, ঘোড়ার কি উটের-বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের এক পাশ থেকে অপর পাশে যেতে পারে না । মানুষে পায়ে হেঁটে যখন হিমালয় পার হয়ে যায়, তখন বিন্ধ্যপর্বত অবশ্য তার চলাচলের পথ বন্ধ করতে পারেনি । মানুষের অগম্য স্থান ভু-ভারতে নেই-কিন্তু দুৰ্গম স্থান আছে। এই বিন্ধ্য অতিক্রম করবার পথ সেকালে অত্যন্ত দুৰ্গম ছিল। রামচন্দ্ৰ পায়ে হেঁটে বিন্ধ্যপৰ্ব্বত পার হয়ে দক্ষিণাপথে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরতি বেলায় তিনি বিমানে চড়ে লঙ্কা থেকে অযোধ্যায় প্রত্যাগমন করাই বেশি আরামজনক অতএব সুযুক্তির কােজ মনে করেছিলেন। সেকালে বিন্ধ্যপৰ্ব্বত প্ৰদক্ষিণ করে আসবারও বিশেষ অসুবিধা ছিল। আরাবলি পৰ্ব্বতের পশ্চিম দিয়ে আসতে হলে মরুভূমি অতিক্রম করে আসতে হত। অপরপক্ষে রাজমহলের পূর্ব দিয়ে বাঙলায় এসে সমুদ্রের ধার দিয়ে মাদ্রাজ পৌছতে অনেক দিন নয়, অনেক বছর লাগত। এক রাজা ও সন্ন্যাসী ছাড়া ওরকম দেশভ্ৰমণ বোধহয় সেকালে অপর কেউ করত না । সমগ্ৰ ভারতবর্ষকে এ ভাবে প্ৰদক্ষিণ করতেন। রাজা দিগ্বিজয়ে বহির্গত হয়ে, আর সন্ন্যাসী তীর্থভ্ৰমণে । এই বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের ভিতর একটি ফাক আছে—খাণ্ডোয়া নামক স্থানে । এলাহাবাদ থেকে বম্বে যাবার রেল পথ এই খাণ্ডোয়ার ফাক দিয়েই যায়। এবং সেকালে এই দুয়োর দিয়েই বোধহয় উত্তরাপথের