পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ নানা চৰ্চা আসাম অতিবৃষ্টির দেশ। এর মধ্যবৰ্ত্তী দেশ অল্পবৃষ্টির দেশ। অপর পক্ষে দক্ষিণাপথের পশ্চিম উপকূল অতিবৃষ্টির দেশ, ও তার পূর্ব অংশই অনাবৃষ্টির দেশ । যে বায়ুকে আমরা monsoon নামে আখ্যাত করি, তার চলবার পথ হচ্ছে ভারতবর্ষের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে উত্তর-পূর্ব কোণে। এ বাতাস প্ৰথমে মালাবার দেশকে জলে ভাসিয়ে দেয়, তারপর পশ্চিম ঘাটে বাধা পেয়ে ঘুরে এসে বাঙলায় ঢোকে, তখন তার গতি হয় দক্ষিণ-পূর্ব থেকে উত্তর-পশ্চিমে। এই বাতাস বাঙলা ও আসামের গায়ে প্রচুর জল ঢেলে দিয়ে তারপর উত্তরাপথের অন্তরে গিয়ে প্রবেশ করে। গ্রীষ্ম ঋতুর অবসানেই এ দেশে বর্ষা ঋতু দেখা দেয়। Monsoon কিন্তু পঞ্চনদ পৰ্য্যন্ত ঠেলে উঠতে পারে না । এ জন্য বাঙলায় যখন বৃষ্টি হয়, , পাঞ্জাব তখন শুখনো । পাঞ্জাবে শীতকালই বর্ষাকাল । ( 0 ) ভারতবর্ষের লোক শতকরা ৯০ জন হচ্ছে কৃষিজীবি। এই কারণে ভারতবর্ষ নাগরিক দেশ নয়, গ্ৰাম্য দেশ । এ দেশে সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার গ্রাম আছে, আর পাঁচাত্তরটিও নগর নেই। নগরেও একরকম সভ্যতার সৃষ্টি হয়, যেমন হয়েছিল পুরাকালের গ্রীসের আথেন্স ও ইতালির রোম নগরীতে। আর সেই সভ্যতাই কতক অংশে বৰ্ত্তমান ইউরোপের মনের উপর। প্ৰভুত্ব করছে। এই সভূরে মনোভাব থেকে নিস্কৃতি না পেলে মানুষের মন ভারতবর্ষ ও চীন দেশের সভ্যতার প্রতি অনুকুল হয় না। এই কারণেই ইউরোপের সাধারণ লোক ও বর্তমান