পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের জিওগ্রাফি 9 উদ্ভিদের মাথায় ও জল ঢালতে হয়, গোড়ায়ও জল দিতে হয় । ধান বৃষ্টির জলে স্নান না করতে পেলে বঁাচে না । কিন্তু খেজুর গাছের মাথায় এক ফোটাও জল দিতে হয় না । গোড়ায় রস পেলে ও গাছ তেড়ে বেড়ে ওঠে। এ কারণ সাহারা মরুভূমি ও আরবদেশই আসলে খেজুরের দেশ। ও দুই মরুভূমির ভিতরে যেখানে একটু জল আছে, সেইখানেই চমৎকার খেজুর জন্মায়। জানোয়ারের ভিতর যেমন উট, গাছের ভিতর তেমনি খেজুর—মরুভূমিরই জীব। গমের মাথায়ও বারিবর্ষণ করবার দরকার নেই। মরুভূমির ভিতর নালা কেটে যদি জল নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলেই সেখানে গম জন্মায়, ও প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। শস্তের যে শুধু পিপাসা আছে তাই নয়, ক্ষিধেও আছে। মাটির ভিতর যে রাসায়নিক পদার্থ ওরফে সার থাকে, তাই হচ্ছে শস্যের প্রধান খাদ্য । যে দেশে বেশি বৃষ্টি হয়, সে দেশের মাটি থেকে এই সার ধুয়ে যায়। মরুভূমির অন্তরে কিন্তু এ সার সঞ্চিত থাকে। সেখানে অভাব শুধু জলের । তাই মরুভূমির অন্তরে জল ঢোকাতে পারলেই যে সব শম্ভের শুধু গোড়ায় জল চাই, সে সব শস্য প্রভূত পরিমাণে জন্মায়। সিন্ধুনদ থেকে খাল কেটে * জল নিয়ে গিয়ে সিন্ধু দেশকে এখন শস্য-শ্যামলা করে তোলা হয়েছে । ( R ) দক্ষিণাপথের ভিতরকার মাটি পলিমাটি নয়, আগ্নেয়গিরি থেকে উদগত পাথর-গলা মাটি । এ মাটিতে খাবার জিনিষ তেমন জন্মায় না, আর দক্ষিণাপথের অপর মাটিও অতি নিরেস মাটি, তাতে ধান জন্মায়