পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8७ নানা চৰ্চা “আমরা পুরোনো দলিলপত্র থেকে প্ৰমাণ পেয়েছি যে, ভারত মহাসাগরের দীপপুঞ্জ পুরাকালে এক নব সভ্যতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। CR < I(Xicers' ( Cambodia) 8 bits' (Cochin China), তেমনি এ দেশেরও Alma Mater ভারতবর্ষ বহুকাল পূর্বে তার দেবতা, তার শিল্পকলা, তার ভাষা, তার সাহিত্য, সংক্ষেপে তার সভ্যতার সকল মহামূল্য উপকরণ এই দ্বীপবাসীদের সানন্দে দান করেছিল, এবং সহস্ৰ বৎসরের অধিককাল ধরে এই দ্বীপবাসীরা সমগ্ৰ হিন্দু সভ্যতা ভক্তিভরে শিক্ষা ও আয়ত্ত করে তাদের হিন্দু-গুরুদের গৌরবান্বিত করেছিল।” একটি সভ্য জাতি, একটি অসভ্য জাতিকে নিজের ধৰ্ম্ম, আর্ট ও সাহিত্যের চাইতে বড় আর কোন মহামূল্য বস্তু দান করতে পারে ? প্ৰসিদ্ধ চীন-পরিব্রাজক ই-চিং খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে ভারতবর্ষ থেকে স্বদেশে ফেরবার পথে যাবৰ্দ্ধবীপে কিছুকাল বাস করেন। তিনি তার ভ্রমণ-বৃত্তান্তে লিখে গিয়েছেন যে, “যবদ্বীপের বৌদ্ধ-পণ্ডিতরা ভারতবর্ষের মধ্যদেশের পণ্ডিতদের মত সমগ্ৰ সংস্কৃত শাস্ত্ৰ চৰ্চা করেন, ও তাদের ক্রিয়া-কলাপ, আচার-বিচার, মধ্যদেশের ক্রিয়া-কলাপ, আচারবিচারের সম্পূর্ণ অনুরূপ। সুতরাং ভবিষ্যতে চীন-পরিব্রাজকরা যেন প্ৰথমে যাব।উদ্বীপে এসে সংস্কৃত শিক্ষা করেন, পরে ভারতবর্ষে যান ।” আমরা যেমন আগে গোলদিঘির পণ্ডিতদের কাছে ইংরাজী শিক্ষা করে। পরে বিলেত যাই । ই-চিংয়ের পরামর্শ অনুসারে তঁার পরবত্তী বহু চীনদেশীয় পরিব্রাজক সংস্কৃত সাহিত্য শিক্ষা করবার জন্য যবন্দ্বীপে গিয়েছিলেন। এখানে একটি কথা বলে রাখি। যবিদ্বীপে প্রথমতঃ হিন্দু ধৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল, পরে সে