পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8r नांना फ्र6 নগর থেকে মসলিপত্তন পৰ্য্যন্ত যে একটি স্থলপথ ছিল, তারও প্রমাণ আছে । সুতরাং এরূপ অনুমান করা অসঙ্গত নয় যে, আৰ্য্যাবৰ্ত্তের আৰ্য্যরাই এই সভ্যতা প্রচার কাৰ্য্যে ব্ৰতী হয়েছিলেন । মনু বলেছেন যে, আৰ্য্যদের আচারই একমাত্ৰ সাধু আচার, অতএব তা “শিক্ষেরন পৃথিব্যাং সৰ্ব্বমানবা।” এ কথার ভিতর মস্ত একটা গৰ্ব্ব আছে, কিন্তু তার চাইতেও বেশি আছে---উদারতা আর মহত্ব । দক্ষিণাপথের তামিলারাও সুমাত্রা জয় করতে গিয়েছিল, কিন্তু সে বহুকাল পরে-থুষ্টীয় দশম ও একাদশ শতাব্দীতে। তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ছিল শ্ৰীবিজয় রাজ্য বিজয় করে তাকে শ্ৰীভ্রষ্ট করা । বলীদ্বীপের কথা বলতে গিয়ে যবন্দ্বীপের বিষয় দু’ কথা বললুম। এই জন্য যে, সেকালের যবন্দ্বীপের হিন্দুধৰ্ম্ম একালে বলীদ্বীপে মজুত রয়েছে। T রামায়ণের যুগে যাবৰীপ সপ্তরাজ্যে উপশোভিত ছিল ; কিন্তু খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে সে দেশে তিনটি মাত্র রাজ্য ছিল। আর তার শেষ রাজ্যের নাম ছিল মধ্য-পাহিত । মধ্য শব্দটি সংস্কৃত, ও পাহিত যাবীয়। দু’ ভাষায় মিশ্রিত এমন বৰ্ণসঙ্কর নাম সব দেশেই পাওয়া যায়। যে দেশে দুটি বিভিন্ন জাতি পাশাপাশি বাস করে, সে দেশের উভয় ভাষার এরকম দ্বন্দ্ব-সমাস নিত্যই ঘটে । যার জোর বেশি তার শব্দ আসে আগে, আর যে কমজোর তার শব্দ থাকে পিছনে পড়ে। যেমন আমাদের দেশে একটি পল্লীর নাম হয়েছে বারাকপুর। ইংরাজী barrack শব্দ এসেছে আগে, আর সংস্কৃত পুর শব্দ তার পিছনে লেজের মত ঝুলছে। মধ্য-পাহিত শব্দ এই জাতীয় দ্বন্দ্ৰ-সমাস ৷* *ইউরোপীয় পণ্ডিতরা বলেন, “মধ্যপ্যাহত” মানে তিতে বেল। এ অর্থ আমার भूषाब्राफ़क नन्न।