পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to STRI 5கி 4. প্ৰাচীন যুগে যদি এক নেশন হয়ে থাকে। ত সে এক ধৰ্ম্মের বন্ধনে। অষ্ট রাজ্যে বিভক্ত হলেও বালীর অধিবাসীরা এক nation- এক ধৰ্ম্মাবলম্বী বলে। ইউরোপে একালে নেশান গড়ে রাজায় ; আর এ দেশে সেকালে গড়ত দেবতায় । পশ্চিমের সব চাইতে বড় কথা হচ্ছে রাজনীতি, আর পূর্বের সব চাইতে বড় কথা ছিল ধৰ্ম্মনীতি। যেমন রাজ্যের ব্যবস্থায়, তেমনি সমাজেও তারা পুরো হিন্দু। তারা এক জাতি হলেও পাচ জাতে বিভক্ত । এ পাচ জাত হচ্ছে ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্য, শূদ্র ও চণ্ডাল। এ পাঁচ জাত পরস্পর বিবাহাদি করেনা। পূর্বে অসবর্ণ বিবাহের শাস্তি ছিল প্ৰাণদণ্ড । গীতায় ভয় দেখিয়েছে যে, এ কবুলে ও হবে, ও হলে তা হবে, আর তা হলেই হবে বৰ্ণসঙ্কর, তার পরেই প্ৰলয় । বালীর হিন্দু-সমাজ বোধ হয় গীতার মতেই চলে। আর প্রাণদণ্ডটাও বোধ হয় দেওয়া হত গীতার দ্বিতীয় অধ্যায় অনুসারে । যদি কোনও ঘাতক কারও প্ৰাণ বধ করতে ইতস্ততঃ করত, उांश्व डcक तख्ठवड दक्ष श्ड :- “ক্ষুদ্ৰং হৃদয়দৌৰ্ব্বল্যং ত্যক্ত,াউত্তিষ্ঠ পর্যন্তপ ” আমরা সকলেই যখন ব্ৰহ্ম তখন কে কাকে মারে, আর কেই বা মরে। কিন্তু এতটা নির্জলা হিন্দুয়ানী এ যুগে চলে না । কারণ এ যুগের লোকের যখন তখন মরতে ঘোর আপত্তি আছে, কিন্তু যাকে তাকে বিয়ে করতে আপত্তি নেই। তাই এখন নিয়ম হয়েছে যে, অসবর্ণ বিবাহ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যার বর্ণ নিম্ন, অপর পক্ষও সেই বর্ণ ভূক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ জাতিভেদের কাঠাম বজায় থাকবে, কিন্তু লোকের একবৰ্ণ