পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনু-হিন্দুস্থান (S ত্যাগ করে আর এক বর্ণে ভক্তি হবার স্বাধীনতাও থাকবে। স্কুলের ছেলেরা যেমন পড়া মুখস্থ না দিতে পারলে উপরের ক্লাস থেকে নীচের ক্লাসে নেমে যায়, বালীর লোকেরাও তেমনি অসবর্ণ বিবাহের ফলে উল্টো e2fs of কিছুদিন পূর্বে বলীদ্বীপে সতীদাহ প্ৰচলিত ছিল। কিন্তু এখন সে প্রথা উঠে গিয়েছে । এখন সতী যায় শুধু রাজার ঝি বেীরা। এর কারণ বোধ হয় রাজারা অবলাদের আঁচল না ধরে স্বর্গেও যেতে পারে না । সে যাই হোক, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, বেন্টিক সাহেব এ দেশে না এলেও এতদিনে হিন্দু সমাজে সতীদাহ প্ৰথা উঠে যেত,-ছেরোপ কালের গুণে ! বিবাহের পর আসে। অবশ্য আহারের কথা । বলীয়ানরা কি খায় তা জানিনে, কিন্তু তারা গো-মাংস ভক্ষণ করে না ; এমন কি বলীদ্বীপে গো-হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারা কিন্তু শূয়োর নিত্য খায়, তবে তাতে তাদের হিন্দুত্ব নষ্ট হয় না । সে দেশে সকল বরাহই বন্য বরাহ, কারণ দেশটাই হচ্ছে বুনো দেশ । তাদের ধৰ্ম্মবিশ্বাসের পরিচয় দু কথায় দিই। ভারতবর্ষের সব দেবতা বলীদ্বীপে গিয়ে জুটেছেন। এমন কি কাৰ্ত্তিক সমুদ্র লঙ্ঘন করেছেন ময়ুরে চড়ে, আর গণেশ ইদুর চড়ে। ইদুর যে পিপড়ের মত চমৎকার সাতার কাটতে পারে, তা বোধ হয় তোমরা সবাই জানো, কারণ ছেলেরা চিরকালই মেয়েদের কাছে শুনে আসছে যে, পিপড়ে খেলে সাতার শেখা যায় । কিন্তু সেখানকার মহাদেব হচ্ছেন “কল” ; আর মহাদেবী “দুৰ্গা” ।