পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনু-হিন্দুস্থান ○ ○ এই কারণে আমার বলীদ্বীপে যাবার ভয়ঙ্কর লোভ হয়, উক্ত দ্বীপে পেদণ্ডদের সঙ্গে শাস্ত্র্যালোচনা করবার জন্য । এ দেশের পেদণ্ডদের কাছে শাস্ত্ৰালোচনা ঢের শুনেছি, কিন্তু বলীদ্বীপের পেদণ্ডদের কাছে অনেক নূতন কথা শুনতে পাব বলে আশা আছে। সম্ভবত সে সবই পুরোনো কথা, কিন্তু এত পুরোনো যে, আমার কাছে তা সম্পূর্ণ নূতন বলে २ाCन्म अश्Cद । দুঃখের বিষয়, বলীদ্বীপে যাবার বল এ বয়েসে আমার আর নেই। কারণ সে দেশে যেতে হয় “প্লবেন প্লবনেন চ” । আশা করি, তোমরা যখন মানুষ হবে, তখন তোমরা কেউ কেউ ও দেশে একবার হাওয়া বদলাতে যাবে,- বিদেশে হিন্দু সভ্যতার নয়, হিন্দু অসভ্যতার নিদর্শন দেখতে । আমরা বিলেতি পলিটীকাল সভ্যতা যেরূপ তেড়ে মুখস্থ করছি, তাতে আশা করতে পারি যে তোমরা যখন বড় হবে, তখন এ দেশের শিক্ষিত লোক এই স্থিরসিদ্ধান্তে উপনীত হবে যে, হিন্দু সভ্যতা অতি মারাত্মক অসভ্যতা । আর পূর্বে যে তা সংক্ৰামক ছিল, তার পরিচয় ঐ সব দেশেই পাবে। ভবিষ্যতে তোমাদের হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি যদি কিছুমাত্ৰ মায়া নাও থাকে, তবু Ethnology-র উপর মায়া ত বাড়বে। আর বলীদ্বীপের পেদণ্ডদের কাছে ও-বিজ্ঞানের সরু মোটা অনেক তত্ত্ব উদ্ধার করতে পারবে। পৃথিবীতে অসভ্য লোক না থাকলে Ethnology, Anthropology প্ৰভৃতি বিজ্ঞানের জন্ম হত না ; যেমন পৃথিবীতে রোগ না। থাকলে চিকিৎসাবিজ্ঞান জন্মাত না । সুতরাং আশা করি, আর কোন কারণে না হোক, বিজ্ঞানের খাতিরেও বলীয়ানরা আর কিছুদিন তাদের অসভ্যতা রক্ষা করে বেঁচে থাকবে। তবে তাদের পাশে