পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারত ও গীতা ( . ) দেশপূজ্য ও লোকমান্য ৬/বালগঙ্গাধর তিলক মহারাষ্ট্ৰীয় ভাষায় শ্ৰীমদ্ভগবদগীতার একখানি বিরাট ভাষ্য রচনা করেছেন, এবং মহাত্মা তিলকের অনুরোধে ৬/জ্যোতিরিন্দ্ৰ নাথ ঠাকুর মহাশয় সে গ্রন্থ বাঙলায় অনুবাদ করেছেন । সে ভাষ্য যে কত বিরাট তার ইয়ত্ত্বা সকলে এই থেকেই করতে পারবেন যে গীতার সপ্তশত শ্লোকের মৰ্ম্ম প্ৰায় সপ্তবিংশতি সহস্ৰ ছত্ৰে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ভাষ্য এত বিশাল হবার কারণ এই যে, এতে বেদ, উপনিষদ, ব্ৰাহ্মণ, নিরুক্ত, ব্যাকরণ, ছন্দ, জ্যোতিষ, পুরাণ, ইতিহাস, কাব্য, দর্শন প্রভৃতি সমগ্র সংস্কৃতশাস্ত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সুবিচার করা হয়েছে। মহাত্মা তিলক এ গ্রন্থে যে বিপুল শাস্ত্ৰজ্ঞান, যে সূক্ষ্ম বিচার-বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন,-তা” যথার্থই অপূৰ্ব্ব । সমগ্ৰ মহাভারতের নৈীলকণ্ঠীয় ভাষ্য ও আমার বিশ্বাস, পরিমাণে এর চাইতে ছোট । তাইতে মনে হয় যে এ ভাষ্য মহাত্মা তিলক, প্রাকৃতে না লিখে ংস্কৃতে লিখলেই ভাল করতেন। কারণ এ গ্রন্থের পারগামী হতে পারেন, শুধু সৰ্বশাস্ত্রের পারগামী পণ্ডিতজন মাত্র, আমাদের মত সাধারণ লোক এ গ্রন্থে প্ৰবেশ করা মাত্ৰই বলতে বাধ্য হবে যে, “ন হি পারিং প্ৰপশ্যামি গ্ৰন্থস্যাস্ত কথঞ্চন | “সমুদ্রস্য মহতো ভুজাভ্যাং প্রতিরক্সর:৷” *

  • মহাভারতের উপরোক্ত শ্লোকের আমি কেবল একটি শব্দ বদলে দিয়েছি, “দুঃখ ন্যাস্ত” পরিবর্তে ‘গ্রন্থ স্তান্ত” বসিয়ে দিয়েছি। আশা করি, তাতে “অর্থের” কোনও ক্ষতি হয়নি।