পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(V) নানা চৰ্চা ( R ) মহাত্মা তিলক এ গ্রন্থের নাম দিয়েছেন “কৰ্ম্মযোগ” । কেননা তিনি ঐ সুবিস্তৃত বিচারের দ্বারা প্ৰমাণ করেছেন যে, গীতা কৰ্ম্মত্যাগের শিক্ষা দেয় না, শিক্ষা দেয় “কৰ্ম্মযোগের” । আর যোগ মানে যে “কৰ্ম্মসু কৌশলং” এ কথা ত স্বয়ং বাসুদেব গোড়াতেই অৰ্জ্জুনকে বলিয়াছেন। এই ব্যাখ্যা সুত্রে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল। নীলকণ্ঠ গীতার ব্যাখ্যা আরম্ভ করেছেন এই ক’টি কথা বলে’ :- “প্ৰণম্য ভগবৎপাদান শ্ৰীধরাদীংশ্চ সদগুরূন। সম্প্রদায়ানুসারেণ গীতা,ব্যাখ্যাং সমারভে II" নীলকণ্ঠ অতি সাদা ভাবে স্বকীয় ব্যাখ্যা সম্বন্ধে যে-কথা মুখ ফুটে বলেছেন, গীতার সকল টীকাকারই সে-কথা স্পষ্ট করে না বললেও চাপ৷ দিতে পারেন না। সকলেই স্ব-সম্প্রদায় অনুসারে ও-গ্রন্থের ব্যাখ্যা করেন । যিনি জ্ঞানমার্গের পথিক, তিনি গীতাকে জ্ঞানপ্ৰধান ও যিনি ভক্তিমার্গের পথিক, তিনি গীতাকে ভক্তিপ্রধান শাস্ত্র হিসাবেই আবহমান কাল ব্যাখ্যা করে এসেছেন। মহাত্মা তিলক তার ভাষ্যে, উক্ত কাব্য অথবা স্মৃতির পঞ্চদশখানি পূর্ব-টীকার যুগপৎ বিচার ও খণ্ডন করেছেন। উক্ত পোনেরো খানিই যে স্ব স্ব সম্প্রদায় অনুসারেই রচিত, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। মহাত্মা তিলক ও স্ব-সম্প্রদায় অনুসারেই তার নূতন ব্যাখ্যা করেছেন। যদি জিজ্ঞাসা করেন যে, মহাত্মা তিলক কোন সম্প্রদায়ের