পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o नानों 555 [-“গ্ৰন্থ কোথায় রচিত হইয়াছে, কে রচনা করিয়াছে, তাহার ভাষা কিরূপ-কাব্যদৃষ্টিতে তাহাতে কতটা মাধুৰ্য্য ও প্রসাদ-গুণ আছে, গ্রন্থের শব্দ রচনা ব্যাকরণ-শুদ্ধ অথবা তাহাতে কতকগুলি আৰ্যপ্ৰয়োগ আছে, তাহাতে কোন কোন মতের, স্থলের কিংবা ব্যক্তির উল্লেখ আছে, এই সকল ধরিয়া গ্রন্থের কাল নির্ণয় করা যাইতে পারে। কি না, ইত্যাদি।"- ] এরূপ আলোচনাকে মহাত্মা তিলক “বহিরঙ্গ পৰ্য্যালোচনা” বলেন - এ আলোচনা আমরা অবশ্য বিলেত থেকে আমদানী করেছি। ["পরন্তু, এক্ষণে পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের অনুকরণে এ দেশের আধুনিক বিদ্বানের গীতার বাহাঙ্গেরই বিশেষ অনুশীলন করিতেছেন” । ] এরূপ আলোচনার প্রতি যারা আসক্ত তাদের প্রতি মহাত্মা তিলক যে আসক্ত নন, তার পরিচয় তিনি নিজ মুখেই দিয়াছেন। তিনি বলেন :- [ “বাগদেবীর রহস্যজ্ঞ ও তাহার বহিরঙ্গ-সেবক এই উভয়ের ভেদ দর্শন করিয়া মুরারি কবি এক সরস দৃষ্টান্ত দিয়াছেন ঃ- ] অব্ধিলাজঘত এব বানরভটৈ কিং ত্বস্য গম্ভীরতাম। আপাতাল-নিমগ্ন পীবিরতনুজানাতি মন্থাচলঃ ॥ আর গ্ৰন্থ-রহস্য মধ্যে মন্দার পর্বতের মত আপাতাল-নিমজ্জিত হওয়ারই নাম অন্তরঙ্গ পৰ্য্যালোচনা 1-মুরারি কবির এই সরস উক্তিটি অবশ্য দেশী বিলেতি বহিরঙ্গ সেবকদের কর্ণে একটু বিরস ঠেকবে। কিন্তু এ বিষয়ে যারা মদমত্ত জৰ্ম্মাণ পাণ্ডিত্যের উল্লম্ফন নিরীক্ষণ