পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さーボーラt和マ 3弾○] VO) একেবারে বধ করতে পারে নি। এর প্রকৃত কারণ তিনিই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন “সন্দেহ নিরঙ্কুশ”। আমি অবিদ্বান, কিন্তু “এতদ্দেশীয়” ও আধুনিক। অতএব আমার মনেও অনেক বিষয়ে সন্দেহ আছে, সে কথা বলাই বাহুল্য ! মনোজগতে “আধুনিক” ও “সংশয়গ্ৰস্ত”। এ দুটি কথা পৰ্য্যায়শব্দ। র্যার মনে কোনরূপ সংশয় নেই তার একালে জন্ম আসলে অকালে জন্ম, কারণ দেহে তিনি একেলে হলেওমনে সেকেলে । এ প্ৰবন্ধে আমার সেই সন্দেহই আমি ব্যক্ত করতে চাই । পণ্ডিতের বিচারে অবশ্য যোগদান করবার অধিকার আমার নেই, কেননা পণ্ডিত ব্যক্তিদের প্রস্থানভূমি “সন্দেহ” হলেও নিঃসন্দিগ্ধ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই হচ্ছে তাদের গম্যস্থান । আর তারা অবলীলাক্রমেই সেখানে পৌছে যান। অপরপক্ষে আমি মহাভারতের নানাদেশ পৰ্য্যটন করে অবশেষে কোনও মানসিক রাজপুতনায় উপনীত হতে পারি নি। কারণ মহাভারতের ভিতর আমার পর্য্যটন শুধু “স্রমণ কারণ”। সুতরাং আমি অপণ্ডিত ও কাব্যরসিক বাঙালী হিসাবেই এ বিষয়ে একটু উচ্চবাচ্য করতে চাই ] i ( & ) আমাদের শাস্ত্ৰ সম্বন্ধে এই “প্ৰক্ষিপ্ত” কথাটার চল করেছেন ইউরোপীয় পণ্ডিতরা । এর একটি স্পষ্ট কারণ আছে। Andre Gide নামক জনৈক বিখ্যাত ফরাসী সাহিত্যিক, রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলির উপর একটি চমৎকার প্রবন্ধ লিখেছেন । তিনি আরম্ভেই বলেছেন যে, গীতাঞ্জলির তনুতা দেখেই তিনি পুলকিত হয়েছিলেন । কারণ তার ভয়