পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারকরত্নত ও গীতা Ny. এক লক্ষ শ্লোকের অর্থাৎ দু’লক্ষ ছত্ৰেয় বিশ্বকোষকে সম্প্রক্ষিপ্ত বললে Andre Gide- S cțRIS EItoffs zFv5 of tra at i a seg নাম সংহিতা না হয়ে কাব্য কি করে হল, তার পরিচয় মহাভারতেই আছে । বেদব্যাসের মনে মাখন এ গ্ৰন্থ জন্মগ্রহণ করে, তখন তিনি ব্ৰহ্মাকে বলেন যে, আমি মনে মনে একখানি কাব্য রচনা করেছি। সে কাব্যে কি কি জিনিষ থাকবে বেদব্যাসের মুখে তার ফর্দ শুনে স্বয়ং ব্ৰহ্মাও একটু চমকে ওঠেন ও থমকে যান, তারপর তিনি সসন্ত্রমে বলেন যে, “হে বেদব্যাস, তুমি যখন ও-গ্ৰন্থকে কাব্য বলতে চাও, তখন ওর নাম কাব্যই হবে, কেননা তুমি কখনও মিথ্যা কথা বলোনা।” এর থেকেই দেখা যাচ্ছে যে বৰ্ত্তমান মহাভারতকে কাব্য বলা যায় কি না, সে বিষয়ে স্বয়ং ব্ৰহ্মার ও সন্দেহ ছিল । কিন্তু তিনি যে ও-গ্ৰস্থকে অবশেষে কাব্য বলতে স্বীকৃত হয়েছিলেন, তার কারণ মহাভারত একাধারে কাব্য আব Encyclopaedia ; Q<3 এই छुछ्रे বস্তু একই SiC33 अडडूड शढ७ মিলেমিশে একদম একাকার হয়ে যায়নি,-মোটামুটি হিসেবে উভয়েই চিরকাল নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে আসছে। মহাভারতের যে-অংশ আমাদের মত অবিদ্বান লোকেরা পড়ে এবং উপভোগ করে সেই অংশ তার কাব্যাংশ ; আর যে-অংশ বিদ্বান লোকেরা কষ্টভোগ করে পৰ্য্যালোচনা করেন, সেই অংশই তার Encyclopaedia-র অংশ। এ বিষয়ে বোধ হয়। আপণ্ডিত মহলে কোনও মতভেদ নেই। মহাভারতের এই যুগল রূপের প্রহেলিকাই হচ্ছে ইউরোপীয় পাণ্ডিত্যের শান্তিভঙ্গের মূল কারণ। এ হেঁয়ালির যাহোক একটা হেস্তনেস্ত না করতে পারলে, পণ্ডিতমণ্ডলী তাদের পণ্ডিতী মনের শান্তি (