পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

წჟNo নানা চৰ্চা ফিরে পাবেন না } এর জন্য র্তারা সকলে মিলে পাণ্ডিত্যের দাবাখেলা খেলতে সুরু করেছেন । এ খেলায় সকলেই সকলকে মাৎ করতে চান। আমি সে খেলার দর্শক হিসেবে দু’টি একটি উপর চাল দিচ্ছি। সে চাল নেওয়া না-নেওয়া নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের উপর । একটু চোখ চেয়ে দেখলেই দেখতে পাবেন যে, পণ্ডিতের দল ভারতবর্ষের অতীতকে প্ৰায় বেদখল করে নিয়েছে । বেদ এখন Philology-র, ইতিহাস Numismatics-\q3, (q5{& <!iễs Archaeology-3 segg (5 &(3 °i(ỵ(8 - অর্থাৎ একাধারে বিজ্ঞানের ও ইংরাজির । এ অবস্থায় মহাভারত যাতে বাঙলা সাহিত্যের হাতছাড়া না হয়ে যায়, সে চেষ্টা আমাদের করা আবশ্যক। তার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিচারের হট্টগোলে যোগ দেওয়া । হেঁয়ালি সম্বন্ধে বাঙলায় একটা কথা আছে যে,- মূৰ্থেতে বুঝিতে পারে। পণ্ডিতের লাগে। ধন্ধ ৷ এই প্ৰবচনের উপর ভরসা রেখে এ হেঁয়ালির উত্তর দিতে চেষ্টা করছি । বলা বাহুল্য যে, কাব্য আর Encyclopaedia এক বৃন্তের গুটি ফুল নয়। কাব্য মানুষের অন্তর হতে আবিভূতি হয়, আর Encyclopaedia বাহির থেকে সংগৃহীত। সুতরাং এ উভয়েই যে এক স্থানে ও এক ক্ষণে জন্মলাভ করেছে, এ কথা অবিশ্বাস্য । সুতরাং আমাদের ধরে নিতেই হবে যে, এ দুই পৃথক বস্তু ; গোড়ায় পৃথক ছিল, পরে কালবশে জড়িয়ে গিয়েছে। তারপর প্রশ্ন ওঠে। এই যে, কাব্যের স্কন্ধে Encyclopaedia