পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A? নানা চৰ্চা TYT TkBDBSS SBBB BBB L sLKDD D TDDDDOS D DDB করে দিচ্ছি। তার বক্তব্য এই যে,- SDBBDD zYBBB SuDDBDDBDS DB DD DBDB BDBDBSS S SY S Y Y Y বৰ্ত্তমান মহাভারতের আদিপর্বে বাণিত হইয়াছে যে, উপাখ্যানসমূহের অতিরিক্ত মহাভারতের শ্লোক-সংখ্যা চব্বিশ হাজার, এবং পরে ইহাও লিখিত হইয়াছে যে, প্ৰথমে উহার নাম “জয়” ছিল। “জয়” শব্দে ভারতীয় যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয় বিবক্ষিত বলিয়া বিবেচিত হয়, এবং এইরূপ অর্থ গ্ৰহণ করিলে, ইহাই প্ৰতীত হয় যে, ভারতীয় যুদ্ধের বর্ণনা প্ৰথমে “জয়” নামক গ্রন্থে করা হইয়াছিল, পরে সেই ঐতিহাসিক গ্রন্থের মধ্যেই অনেক উপাখ্যান সন্নিবেশিত হইয়া উহাই ইতিহাস ও ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিচারেরও নিৰ্ণয়কারী এই এক বড় মহাভারতে পরিণত হইয়াছে। ] অর্থাৎ “জয়” ওরফে “ভারত” কাব্য লুপ্ত হয়নি, মহাভারতের অন্তরেই তা গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে মহাভারতের মহত্ত্ব ও গুরুত্বের চাপের ভিতর থেকে ‘জয়ের” ক্ষুদ্র দেহ উদ্ধার করা অসম্ভব ৷ ‘ ভারত” যে লুপ্ত হয়নি, এ বিষয়ে আমি মহাত্মা তিলকের মত শিরোধাৰ্য্য করি, কারণ সে কাব্যের লুপ্ত হবার কোনও কারণ নেই। সেকালে ছাপাখানা ছিলনা, সব গ্ৰন্থই হাতে লিখতে হত, সুতরাং উপযুক্ত লেখকের অভাবে বড় ভারতেরই লুপ্ত হবার কথা, ছোট ভারতের নয় । সেকালে একটানা শত সহস্ৰ শ্লোক লেখবার লোক যে কতদূর দু'প্রাপ্য ছিল তার প্রমাণ-স্বয়ং ব্ৰহ্মা বেদব্যাসের মনঃকল্পিত গ্ৰন্থ লেখবার ভাৱ গণেশের উপর দিয়েছিলেন। দেশে লেখবার মানুষ পাওয়া গেলে, আর হিমালয় থেকে লম্বোদর দেবতাকে টেনে