পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रङ्ख्छझङ \e ी@ा V আনতে হত না। ভগবান গজাননও যে ইচ্ছামুখে এই বিরাট গ্ৰন্থ লিপিবদ্ধ করতে রাজি হন নি, তার প্রমাণ, তিনি লেখা ছেড়ে পালাবার এক ফন্দি বার করেছিলেন । তিনি ব্যাসদেবকে বলেন যে,--“আমি বৃথা সময় নষ্ট করতে পারব না। আপনি যদি গড় গড় করে” শ্লোক আবৃত্তি করে” যান, তাহলে আমি ফস ফস করে” লিখে যাব। আর আপনি যদি একবার মুখ বন্ধ করেন ত, আমি একেবারে কলম বন্ধ করব।” বেদব্যাস কি করে’ হাঁপ ছেড়ে জিরিয়েছিলেন, অথচ হেরম্বকে দিয়ে আগাগোড়া মহাভারত লিখিয়ে নিয়েছিলেন, সে কথা ত সবাই জানে। গণেশকে ভ্যাবাচ্যাক খাইয়ে দেবার জন্য তিনি অষ্টসহস্ৰ অষ্টশত শ্লোক রচনা করেন, যার অর্থ তিনি বুঝতেন। আর শুকদেব বুঝতেন, আর সঞ্জয় হয়ত বুঝতেন, হয়ত বুঝতেন না ; সেই ৮৮০০ শ্লোক যদি কেউ মহাভারত থেকে বেছে ফেলতে পারেন, তাহলে তিনি আমাদের মহা উপকার করবেন। তবে জৰ্ম্মাণ পণ্ডিত ছাড়া এ কাটা বাছবার কাজে আর কেউ হাত দেবেন না । তারপর বড় বই লেখাও যেমন শক্ত, পড়া ও তেমনি শক্ত । এমন কি, সেকালের পণ্ডিত লোকে ও বড় বই ভালবাসতেন না । এই গ্রীষ্ম-প্ৰধান দেশে জৰ্ম্মাণ পণ্ডিতদের মত হাজার হাজার পাতা বই গেলা এতদেশীয়দের পক্ষে অসম্ভব। এতদেশীয় পণ্ডিতদের বিরাট গ্ৰন্থ যে ইষ্ট ছিল না, সে কথা মহাভারতেই আছে। ‘ইষ্টং হি বিদুষাং লোকে সমাসব্যাসধারণম।” সুতরাং লেখার হিসেব থেকে হোক আর পড়ার হিসেব থেকেই হোক, দু’হিসেব থেকেই আমরা মানতে বাধ্য যে “ভারত” লুপ্ত হয়নি, ও-কাব্য মহাভারতের অন্তরে সেই ভাবে অবস্থিতি করছে, যে ভাবে শকুন্তলার আংটি মাছের পেটে অবস্থিতি করেছিল।