পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ নানা চৰ্চা কি, সে সম্বন্ধে অদ্যাবধি এ দেশের পণ্ডিতসমাজের কোনও স্পষ্ট ধারণা। নেই। শঙ্করাচাৰ্য্য প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ বলে’ বৈষ্ণব-শাস্ত্ৰে প্ৰসিদ্ধ। কিন্তু যিনি হিন্দুধৰ্ম্মের পুনর্জন্মদাতা এবং ভারতবর্ষে বৌদ্ধধৰ্ম্মের উচ্ছেদকৰ্ত্তা বলে জগৎবিখ্যাত, তার বিরুদ্ধে এ অপবাদ যে কেন দেওয়া হয়েছে, তা জানতে হলে, শঙ্করের জ্ঞানবাদের সঙ্গে বৌদ্ধদের বিজ্ঞানবাদের সম্পর্ক যে কত ঘনিষ্ঠ, তা জানা চাই ; যা এ দেশের অধিকাংশ দর্শন শাস্ত্রীরা জানেন না। এখন এই বৌদ্ধ-দর্শন বুদ্ধের দর্শন কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সুতরাং বৌদ্ধ-দর্শনের বিচার থেকে বুদ্ধদেবের, তার প্রচারিত ধৰ্ম্মের এবং তঁর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সজেঘর কোনই পরিচয় পাওয়া যায় না। তাই দুদিন আগে আমরা বুদ্ধ, বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধসঙ্ঘ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলুম। ( R ) আর আজ আমরা প্ৰাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাস বলতে প্ৰধানতঃ বৌদ্ধযুগের ইতিহাসই বুঝি, আর হিন্দু কলাবিদ্যা বলতে বৌদ্ধ কলাবিদ্যাই বুঝি। আমরা হঠাৎ আবিষ্কার করেছি যে, ভারতবর্ষের বৌদ্ধযুগ হচ্ছে এ দেশের সভ্যতার সর্বাপেক্ষ গৌরব-মণ্ডিত যুগ। তাই বৌদ্ধ-সম্রাট অশোক এবং তঁর অমর কীক্তির দিকে আমাদের সকলেরই দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। তারপর আমরা সম্প্রতি এও আবিষ্কার করেছি যে, আমাদের পূৰ্ব্বপুরুষরা সব বৌদ্ধ ছিলেন ; বাঙলা বৌদ্ধধৰ্ম্মের একটি অগ্রগণ্য ধৰ্ম্মক্ষেত্র ছিল। বাঙলা ভাষার আদি পদাবলী নাকি বৌদ্ধ দোহা, ও আদি ধৰ্ম্মগ্রন্থ “শূন্যপুরাণ”। এ যুগের পণ্ডিতদের মতে বাঙলা ভাষার