পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম by থেকে ইউরোপীয় পণ্ডিতরা যে সকল তথ্য উদ্ধার করেছেন - বর্তমান যুগে তাই আমরা বৌদ্ধমত বলে জানি ও মানি । ( 8 ) পালি গ্ৰন্থসকল আবিষ্কৃত হবার কিছুকাল পরে সংস্কৃত ভাষায় লিখিত খানকতক বৌদ্ধধৰ্ম্মের গ্রন্থের সন্ধান নেপালে পাওয়া গেল। সে সব গ্রন্থ আলোচনা করে ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ দেখতে পেলেন যে, সিংহলী বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও নেপালী বৌদ্ধধৰ্ম্ম এক নয়। এবং বহুকাল পূর্বে বৌদ্ধমত যে দু-ধারায় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল, তার প্রমাণ এই দুটি ধারায় দুটি বিভিন্ন নাম থেকেই পাওয়া যায়। যে বৌদ্ধমত সিংহল, ব্ৰহ্ম ও শ্যামদেশে প্ৰচলিত, তা “হীনযান” নামে প্ৰসিদ্ধ ; আর যে বৌদ্ধমত নেপাল, তিব্বত, চীন, জাপান, কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়াতে প্ৰচলিত, তার নাম হচ্ছে “মহাযান” । ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা এই দুটি বিভিন্ন মতের নাম দিয়েছেনNorthern School VS Southern School i SNCF3F fra T3 qK5 WC715 ইউরোপীয় পণ্ডিতরা “হীনযান”কেই মূল বৌদ্ধমত ও “মহাযান”কে তার অপভ্রংশ বলে প্ৰমাণ" করতে চেষ্টা করেন। ফলে আর একদল পণ্ডিত তার বিরুদ্ধ মত প্রচার করেন। অবশেষে এই পণ্ডিতের তর্কের ফল দাড়িয়েছে এই ষে,-উভয় দলই এখন এ বিষয়ে একমত যে, হীনযান ও মহাযান, এ দুয়ের ভিতর বৌদ্ধধৰ্ম্মের একই মূলতত্ত্ব পাওয়া যায়, এবং অন্যান্য বিষয়ে উভয় মতের এতটা সাদৃশ্য আছে যে, এরূপ অনুমান করা অসঙ্গত নয় যে, একই আদি মত থেকে এই দুটি বিভিন্ন শাখা বিনিৰ্গত श्C3gछ् ।