পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ከሦb” নানা চৰ্চা বৰ্দ্ধানের, সে-মহাপুরুষের আখ্যান শোনবার জন্য এ যুগে আমাদের সকলেরই অল্পবিস্তর কৌতুহল আছে। কারণ, তিনি নিজ বাহুবলে দিগ্বিজয় ক’রে উত্তরাপথের সম্রাটু হয়েছিলেন । এ যুগে আমাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা বিন্দুমাত্র নেই; সুতরাং পুরাকালে যেযে স্বদেশী রাজা ভারতবর্ষে দিগ্বিজয়ী রাজচক্ৰবৰ্ত্তী হয়েছিলেন, তঁদের জীবনচরিত আমরা সকলেই মন দিয়ে শুনতে চাই। পৃথিবীর দাবাখেলায় এখন আমরা বড়ের জাত ; তাই আমরা যদি এ খেলায় কাউকে বাজি মাৎ করতে চাই, সে হচ্ছে, বড়ের চালে চালমাৎ । সুতরাং আমাদের জাতের মধ্যে ও যে অতীতে রাজা ও মন্ত্রী ছিলেন, এ আমাদের কাছে মহা সুসমাচার। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এ শ্রেণীর এক-রাটের দর্শন বড় বেশি মেলে না। প্ৰথম ছিলেন অশোক, তারপর সমুদ্রগুপ্ত, আর শেষ হচ্ছেন। হৰ্ষবৰ্দ্ধন ;---আর যদি কেউ থাকেন ত তিনি ইতিহাসের বহিভূত । R দুঃখের বিষয়, এ মহাপুরুষ সম্বন্ধে কৌতুহল চরিতার্থকরা আমাদের, অর্থাৎ বর্তমান যুগের ইংরাজী-শিক্ষিত সম্প্রদায়ের পক্ষে একরকম অসম্ভব বললেও অত্যুক্তি হয় না। হর্ষ সম্বন্ধে দুজন লোক দু’ভাষায় দু’খনি বই লিখেছেন, এবং সেই দু’খনি বইয়ের উপরই আমাদের হর্ষ-চরিত খাড়া করতে হবে। একটি লেখক হচ্ছেন “হুয়েন সাং” ওরফে ইউয়ান চোয়াং নামক চৈনিক পরিব্রাজক ; এবং দ্বিতীয় লেখক হচ্ছেন বাণভট্ট। চীনে লেখক অবশ্য চীনে ভাষাতেই লিখেছেন, আর বলা বাহুল্য, সে ভাষায় বর্ণপরিচয়