পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। बांश१-मशनड। ३१ হস্তক্ষেপ করবার ক্ষমতা রাজারও নেই। মনু প্রভৃতি ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের পাতা একবার উল্টে দেখলেই দেখা যায় যে, বৰ্ত্তমান বাঙ্গালী-হিন্দুসমাজ মনুর শাস্ত্রের বিধি-নিষেধ শতকরা পাঁচটিও পালন করেন না। শাস্ত্রে বলে লোক সমাজ-লোকাচার, দেশাচার ও কুলাচারের বশবৰ্ত্তী। বাঙ্গালী হিন্দুসমাজ এই তিনটির উপর আর একটিরও বিশেষ অধীন—সেটি হচ্ছে স্ত্রী আচার। সুতরাং হিন্দুসমাজের বিধি-নিষেধ পুথিতে নেই, । আছে পাজিতে । এ অবস্থায় শাস্ত্রের সাহায্যে সমাজকে কি ? করে শাসন করা যেতে পারে,-তা আমার বুদ্ধির অগম্য। লোকাচার রক্ষা করবার জন্য শাস্ত্রের আবশ্যক নেই; লোক্লাচার নষ্ট করুবার জন্য শাস্ত্র অনেক সময় আমাদের হাতে অস্ত্র। শাস্ত্রকে এই অস্ত্র হিসেবেই রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর এবং দয়ানন্দ স্বামী ব্যবহার করেছেন। ব্ৰাহ্মণ মহাসভার প্রথম ভুল এই যে, তারা শাস্ত্রের সাহায্যে লোকাচারের প্রতিষ্ঠা করতে চান। এদের দ্বিতীয় ভুল। এই যে, এরা ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতের দ্ব . . কোনও একটা সমগ্র সমাজ নেই। আমাদের হাজারো-এক সমগ্ৰ হিন্দুসমাজকে শাসন করতে চান। হিন্দুসমাজ বলে’ ৷ জাতির এবং তাদের শাখা উপশাখার সমাজ সব স্বতন্ত্র সমাজ । এই অসংখ্য খণ্ড সমাজ সকল সব স্বস্ব প্রধান, কোনও বিশেষ জাতির কিম্বা কোন বিশেষ শ্রেণীর লোকের শাসনাধীন নয়। ] অবশ্য এ সকল সমাজেই ব্ৰাহ্মণের প্রভুত্ব আছে। কিন্তু সে । হচ্ছে ধৰ্ম্মযাজক হিসেবে-সমাজের শাসনকৰ্ত্তা হিসেবে নয়। ] ব্ৰাহ্মণেতার বর্ণের নিকট ব্ৰাহ্মণের মত, ক্রিয়া-সম্বন্ধে গ্ৰাহা । -কৰ্ম্ম সম্বন্ধে নয়। বাংলার কায়স্থ-সমাজ বিলেত ফেরতকে । SV)