পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 भांन-कशीं । আর কতক জাগ্ৰত। আমাদের মনের যে অংশটুকু জেগে আছে সেই অংশটুকুকেই আমরা সমগ্ৰ মন বলে ভুল করি,- নিদ্রিত অংশটুকুর অস্তিত্ব আমরা মানিনে, কেননা জানিনে। সাহিত্য মানব-জীবনের প্রধান সহায়, কারণ তার কাজ হচ্ছে মানুষের মনকে ক্ৰমান্বয় নিদ্রার অধিকার হতে ছিনিয়ে নিয়ে জাগরকে করে” তোলা । আমাদের বাংলা সাহিত্যের ভোরের - পাখীরা যদি আমাদের প্রতিষ্ঠিত সবুজপত্ৰ-মণ্ডিত সাহিত্যের নব শাখার উপর এসে অবতীর্ণ হন, তাহলে আমরা বাঙ্গালীজাতির সব চেয়ে যে বড় অভাব তা কতকটা দূর করতে পারব। সে অভাব হচ্ছে আমাদের মনের ও চরিত্রের অভাব যে কতটা, তারি জ্ঞান। আমরা যে আমাদের সে অভাব সম্যক উপলব্ধি । করতে পারিনি তার প্রমাণ এই যে, আমরা নিত্য লেখায় ও বক্তৃতায় দৈন্যকে ঐশ্বৰ্য্য বলে’, জড়তাকে সাত্ত্বিকতা বলে’, আলস্যকে ঔদাস্য বলে’, শ্মশান-বৈরাগ্যকে ভূমানন্দ বলে', উপবাসকে উৎসব বলে’, নিষ্কৰ্ম্মাকে নিস্ক্রিয় বলে’ প্ৰমাণ করতে চাই। এর কারণও স্পষ্ট। ছল দুৰ্বলের বল। যে দুর্বল সে অপরকে প্ৰতারিত করে আত্মরক্ষার জন্য, আর নিজেকে প্ৰতারিত করে আত্মপ্ৰসাদের জন্য । আত্মপ্ৰবঞ্চনার মত আত্মঘাতী জিনিস আর নেই। সাহিত্য, জাতির খোরপোষের ব্যবস্থা ' করে দিতে পারে না-কিন্তু তাকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করতে | পারে । আমরা যে দেশের মনকে ঈষৎ জাগিয়ে তুলতে পারব, এত বড় স্পৰ্দ্ধার কথা আমি বলতে পারিনে, কেননা, যে সাহিত্যের | দ্বারা তা সিদ্ধ হয়, সে সাহিত্য গড় বার জন্য নিজের সদিচ্ছাই যথেষ্ট নয়,-তার মূলে ভগবানের ইচ্ছা থাকা চাই, অর্থাৎ