পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্রের মুখপত্র। Sod নৈসৰ্গিকী প্ৰতিভা থাকা চাই। অথচ ও ঐশ্বৰ্য ভিক্ষা করে’। পাবার জিনিষ নয়। তবে বাংলার মন যাতে আর বেশি ঘুমিয়ে। না পড়ে, তার চেষ্টা আমাদের আয়ত্তাধীন। মানুষকে বাঁকিয়ে দেবার ক্ষমতা অল্পবিস্তর সকলের হাতেই আছে-সে। ক্ষমতার প্রয়োগটি কেবল আমাদের প্রবৃত্তিসাপেক্ষে। এবং আমাদের প্রবৃত্তির সহজ গতিটি যে ঐ নিজেকে এবং অপরকে সজাগ । করে তোলাবার দিকে তাও অস্বীকার করুবার যে নেই, কারণ ইউরোপ আমাদের মনকে নিত্য যে বাঁকুনি দিচ্ছে তাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ইউরোপের সাহিত্য, ইউরোপের দর্শন, মনের গায়ে হাত বুলোয় না, কিন্তু ধাক্কা মারে। ইউরোপের সভ্যতা অমৃতই হোক, মদিরাই হোক, আর হলাহলাই হোক, তার ধৰ্ম্মই হচ্চে মনকে উত্তেজিত করা, স্থির থাকতে দেওয়া নয়। এই ইংরাজি-শিক্ষার প্রসাদে, এই ইংরাজি-সভ্যতার সংস্পর্শে, আমরা দেশশুদ্ধ লোক যে দিকে হোক কোনও একটা দিকে চলাবার জন্য এবং অন্যকে চালাবার জন্য আঁকুৰ্বাকু করছি। কেউ পশ্চিমের দিকে এগোতে চান, কেউ পূর্বের দিকে পিছু হটতে চান, কেউ আকাশের উপরে দেবতার আত্মার অনুসন্ধান করছেন, কেউ মাটির নীচে দেবতার মূৰ্ত্তির অনুসন্ধান করছেন। এক কথার আমরা উন্নতিশীলই হই, আর অবনতিশীলই হই, আমরা সকলেই গতিশীল,-কেউ স্থিতিশীল নই। ইউরোপের স্পর্শে আমরা, আর কিছু না হােক, গতিলাভ করেছি, অর্থাৎ মানসিক ও ব্যবহারিক সকলপ্রকার জড়তার হাত থেকে কথঞ্চিৎ মুক্তিলাভ করেছি। এই মুক্তির ভিতর যে আনন্দ আছে—সেই आनन्त श्रड३ अभिांप्रद्ध नद-नांशिउान श्रक्षेि। श्गtद्भद्र আগ-৩/ মনে হীরামালিনীর ভাঙ্গা মালঞ্চে যেমন ফুল ফুটেছিল, ইউ S8