পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन-कशीं । , ܟܠ o ܠܹ রোপের আগমনে আমাদের দেশে তেমনি সাহিত্যের ফুল ফুটে” উঠেছে। তার ফল কি হবে সে কথা না বলতে পারলেও, এই ফুলফোটা যে বন্ধ করা উচিত নয় এই হচ্ছে আমাদের দৃঢ় ধারণা। সুতরাং যিনি পারেন। তঁকেই আমরা ফুলের চাষ করবার জন্য উৎসাহ দেব। ইউরোপের কাছে আমরা একটি অপূর্ব জ্ঞান লাভ করেছি, সে হচ্ছে এই যে, ভাবের বীজ যে দেশ থেকেই আননা কেন, দেশের মাটিতে তার চাষ করতে হবে। চিনের টবে তোলা মাটিতে সে বীজ বপন করা পণ্ডশ্রম মাত্র। আমাদের এই নবশিক্ষাই, ভারতবর্ষের অতিবিস্তৃত অতীতের মধ্যে আমাদের এই নবভাবের চর্চার উপযুক্ত ক্ষেত্র চিনে নিতে শিখিয়েছে। ইংরাজি শিক্ষার গুণেই আমরা দেশের লুপ্ত অতীতের পুনরুদ্ধারকল্পে ব্ৰতী হয়েছি। তাই আমাদের মন একলম্বে শুধু ৰঙ্গ বিহার নয়, সেই সঙ্গে হাজার দেড়েক বৎসর ডিঙ্গিয়ে একেবারে আৰ্য্যাবৰ্ত্তে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এখন আমাদের পূর্ব কবি হচ্ছে কালিদাস, কাশিদাস নয়,-দার্শনিক শঙ্কর, গদাধর নয়,- শাস্ত্রকার মনু, রঘুনন্দন নয়,--আলঙ্কারিক দণ্ডী, বিশ্বনাথ নয়। নব্যন্যায়, নব্যদর্শন, নব্যস্মৃতি আমাদের কাছে এখন অতি পুরাতন, আর যা কালের হিসাবে অতি পুরাতন, তাই আবার বৰ্ত্তমানে নতুনরূপ ধারণ করে এসেছে। এর কারণ হচ্ছে, ইউরোপের নবীন সাহিত্যের সঙ্গে ভারতবর্ষের প্রাচীন সাহিত্যের আকারগত সাদৃশ্য না থাকলেও অন্তরের মিল আছে। সে হচ্ছে প্রাণের মিল,—উভয়ই প্রাণবন্ত। গাছের গােলাপের সঙ্গে । কাগজের গোলাপের সাদৃশ্য থাকলেও, জীবিত ও মৃতের ভিতর যে পার্থক্য-উভয়ের মধ্যে সেই পার্থক্য বিদ্যমান। কিন্তু