পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: Sebe भन-कशी । ক্রমে সাহিত্য গড়তে চাই বলে, আমাদের নৈসৰ্গিকী প্ৰতিভার উপর নির্ভর করা ব্যতীত উপায়ান্তর নেই। অথচ এ কথা লেখকমাত্রেরই স্মরণ রাখা উচিত যে, যিনি সরস্বতীর প্রতি অনুগ্রহ করে লেখেন, সরস্বতী চাই কি তার প্রতি অনুগ্রহ নাও করতে পারেন। এই একটি কারণ যার জন্যে বঙ্গসাহিত্য পুষ্পিত না হয়ে, পল্লবিত হয়ে উঠছে। ফুলের চাষ করতে হয়, জঙ্গল আপনি হয়। অতিকায় মাসিক পত্রগুলি সংখ্যাপূরণের জন্য এই আগাছার অঙ্গীকার করতে বাধ্য, এবং সেই কারণে আগাছার বৃদ্ধির প্রশ্ৰয় দিতেও বাধ্য। এই সব দেখে শুনে, ভয়ে সঙ্কুচিত হয়ে, আমাদের কাগজ ক্ষুদ্র আকার ধারণ করেছে। এই আকারের তারতম্যে, প্রকারেরও কিঞ্চিৎ তারতম্য হওয়া অবশ্যাম্ভাবী। আমাদের স্বল্পায়তন পত্রে, অনেক লেখা আমরা অগ্রাহ্য করতে বাধ্য হব। স্ত্রপাঠ্য, শিশুপাঠ্য, স্কুলপাঠ্য এবং অপাঠ্য প্রবন্ধসকল, অনাহুত কিম্বা রবার্তৃত হয়ে আমাদের দ্বারস্থ হলেও আমরা তাদের স্বস্থানে প্রস্থান করতে বলতে পারুব ; কারণ, আমাদের ঘরে স্থানাভাব। এক কথায় শিক্ষাপ্ৰদ প্ৰবন্ধ আমাদের প্রকাশ করতে হবে না। এর লাভ যে কি, তিনিই বুঝতে পারবেন, যিনি জানেন যে, যে কথা একশ’ বার বলা হয়েছে তারি পুনরাবৃত্তি করাই শিক্ষকের ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্ম । যে লেখায় লেখকের মনের ছাপ নেই, তা ছাপালে সাহিত্য ३१ •ा । তারপর, যে জীবনীশক্তির আবির্ভাবের কথা আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি, সে শক্তি আমাদের নিজের ভিতর থেকে উদ্বুদ্ধ হয় নি -তা হয় দূরদেশ হতে, নয় দূরকাল হতে, অর্থাৎ বাইরে থেকে এসেছে। সে শক্তি এখনও আমাদের সমাজে ও