পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্রের মুখপত্র। So S মনে বিক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। সে শক্তিকে নিজের আয়ত্তাধীন করতে না পারলে তার সাহায্যে আমরা সাহিত্যে ফুল কিম্বা জীবনে ফল পাব না। এই নূতন প্ৰাণকে সাহিত্যে প্ৰতিফলিত করতে হলে প্ৰথমে তা মনে প্ৰতিবিম্বিত করা দরকার। অথচ ইউরোপের প্রবল ঝাকুনিতে আমাদের অধিকাংশ লোকের মন ঘুলিয়ে গেছে। সেই মনকে স্বচ্ছ করতে না পারলে তাতে কিছুই প্ৰতিবিম্বিত হবে না। বৰ্ত্তমানের চঞ্চল এবং বিক্ষিপ্ত মনোভাবসকলকে যদি প্ৰথমে মনদৰ্পণে সংক্ষিপ্ত ও সংহত করে প্ৰতিবিম্বিত করে’ নিতে পারি, তবেই তা পরে সাহিত্যদর্পণে প্ৰতিফলিত হবে । আমরা আশা করি আমাদের এই স্বল্পপরিসর পত্রিকা মনোভাব সংক্ষিপ্ত ও সংহত করুবার পক্ষে লেখকদের সাহায্য করবে। সাহিত্য গড়তে কোনও বাইরের নিয়ম চাইনে, চাই শুধু আত্মসংযম। লেখায় সংযত হবার একমাত্র উপায় হচ্চে সীমার ভিতর আবদ্ধ হওয়া । আমাদের কাগজে আমরা তাই সেই সীমা নির্দিষ্ট করে” দেবার চেষ্টা করব। আমার শেষ কথা এই যে, যে শিক্ষার গুণে দেশে নূতন প্ৰাণ এসেছে, মনে সাহিত্য গড়বার প্রবৃত্তি জন্মিয়ে দিয়েছে, সেই শিক্ষার দোষেই সে ইচ্ছা কার্ঘ্যে পরিণত করবার অনুরূপ ক্ষমতা আমরা পাই নি। আমরা বৰ্ত্তমান ইউরোপ ও অতীত ভারতবর্ষ, এ উভয়ের দোটানায় পড়ে, বাংলা প্ৰায় ভুলে গেছি। আমরা শিখি ইংরাজি, লিখি বাংলা, মধ্যে থাকে ংস্কৃতের ব্যবধান। ইংরাজি শিক্ষার বীজ অতীত ভারতের ক্ষেত্রে প্রথমে বপন করলেও, তার চারা তুলে বাংলার মাটিতে বসাতে হবে, নইলে স্বদেশী সাহিত্যের ফুল ফুটবে না। পশ্চিমের প্ৰাণবায়ু যে ভাবের বীজ বহন করে আনছে, তা দেশের মাটিতে