পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS3 -शं । SDBDD B BB DBDSDDDB BDE LDDS DDBD SDBDD BBB আসুন।” এ কথা বলবার উদ্দেশ্য এই যে, তার মতে ভারতবৰ্ষই হচ্ছে বিজ্ঞানের জন্মভূমি; কিন্তু পুৱাকালে বালক অবস্থাতেই বিজ্ঞান সমাজের প্রতি অভিমান করে” দেশত্যাগী হ’য়ে ইউরোপে চলে যান। এবং সেখানে তাঁদেশবাসীর যত্নে লালিত পালিত হয়ে এখন যথেষ্টর চাইতেও বেশি হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছেন। এমন কি, ইউরোপবাসীরা এখন আর তঁাকে সামলে উঠতে পারছে না। এই কারণেই, যিনি স্থলপথে বিলেত চলে গেছলেন, তাকে আবার জলপথে দেশে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে এলে দেশের যে কোনও অকল্যাণ হবে, এ আশঙ্কা ঠাকুরমহাশয় করেন না। বরং তিনি এতে মঙ্গলের আশা করেন । কেন ? — তা তিনি স্পষ্ট করে’ ব্যাখ্যা করেন নি। তবে তিনি বিজ্ঞানের রূপগুণের যে শাস্ত্রসঙ্গত বৰ্ণনা করেছেন, তার থেকেই আমরা অনুমান করতে পারি যে, কি কারণে বিজ্ঞানের আবার দেশে ফেরাটা দরকার। ঠাকুর মহাশয় বলেছেন যে,- বৈদান্তিক আচাৰ্য্যেরা বলেন, সত্য তিন প্রকার :- (১) পরমার্থিক সত্য = তত্ত্বজ্ঞান = পরাবিদ্যা । (২) ব্যাবহারিক সত্য = বিজ্ঞান = অপরাবিদ্যা । (৩) প্ৰতিভাসিক সত্য = ভ্ৰমজ্ঞান = অবিদ্যা বিজ্ঞান বলতে একালে আমরা যা বুঝি, সে বিষয়ে বেদান্তের পরিভাষায় সম্যক আলোচনা করা কঠিন ; কারণ জ্ঞানের এই | ত্ৰিবিধ জাতিভেদ আধুনিক দার্শনিকের স্বীকার করেন না।